আমাদের ভারত, ৭ জানুয়ারি: প্রথমে সন্দেশখালি, তারপরেই বনগাঁ। ইডি আধিকারিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা উদ্বেগজনক। এই ঘটনা একরকম ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছে পদ্ম শিবিরের নেতারা। রবিবার এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্যপালকে বিজেপির তরফে অনুরোধ করা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর রবিবার দুপুরে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আনন্দ বোসে সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালকে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর হাতে একটি খোলা চিঠিও তুলে দেন তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে তার দেখা করার ছবি নিজের এক্স হেন্ডেলে পোস্ট করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, ইডি অফিসারদের উপর যেভাবে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীরা হামলা করেছে সেটা আতঙ্কের তো বটেই। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনা যে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা উদ্বেগের। রাজ্যপালকে আমরা বলেছি তিনি যেন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষা এবং তার উপর আমাদের বিশ্বাসকে সুনিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ করেন।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহান অনুগামীদের হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে শাহজাহান অনুগামীরা লাঠি, পাথর, ইট নিয়ে চড়াও হয় তাদের ওপর। ঘটনায় তিনজন ইডি আধিকারিক আহত হন। তারা হাসপাতালে ভর্তি। ইডির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়,গ্রামবাসীরা তাদের অফিসারদের খুন করার চেষ্টা করেছিল। এরপর জানা যায়, সন্দেশখালির পর বনগাঁতেও শঙ্কর আঢ্যর বাড়ি থেকে বেরনোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ইঁট, পাথর নিয়ে আক্রমণ করে ইডি কর্তাদের। বিজেপি শুক্রবারে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।
এরপর রবিবার দুপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপালের হাতে চিঠিও তুলে দিলেন। অন্যদিকে সুকান্তর আগে রাজ্যপালের সঙ্গে রবিবার দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

