আমাদের ভারত, ২৬ ডিসেম্বর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন আসন্ন। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত হতেই হবে। আরামবাগের সভা থেকে ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত মজুমদার মনে করালেন, সাধুসন্তদের উপর লাঠি ও গুলি চালানোর পরেই ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হয়েছিলেন। এমনকি জেলেও গিয়েছিলেন।
আজ আরামবাগ বিধানসভায় একটি সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন আসন্ন বলে দাবি করেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দীপু দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা কোনো তৃণমূল নেতা প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি ও সাধুসন্তরা প্রতিবাদ করছেন। আর সেই প্রতিবাদী সাধুসন্তদের ওপর লাঠিচার্জ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন আসন্ন। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, একসময় ইন্দিরা গান্ধী এই ভারতবর্ষের দোর্দন্ড প্রতাপ নেত্রী ছিলেন। তাঁর সামনে দাঁড়ানো ক্ষমতা কারোর ছিল না। কিন্তু করপাত্রী মহারাজ বলে একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। তিনি দিল্লিতে গো হত্যা বন্ধের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী সেদিন সাধু- সন্ন্যাসীদের ওপর গুলি চালানো ও লাঠিচার্জের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন সেই সাধু- সন্ন্যাসীরা বলেছিলেন, ইন্দিরা গান্ধীর পতন আসন্ন। সবাই হেসেছিল, বলেছিল ইন্দিরা গান্ধীকে হারানো সম্ভব নয়। কিন্তু সাধু- সন্ন্যাসীদের কথা কখনো ভুল হতে পারে না। ইন্দিরা গান্ধী শুধু হেরেছিলেন তাই নয়, জেলেও গিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসও হারবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন। ভবানীপুর থেকে হারবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দীপু চন্দ্র দাস ও মুর্শিদাবাদের হরগোবিন্দ দাস- এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আপনার হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার আপনাকে দীপু চন্দ্র কিংবা হরগোবিন্দ দাস হওয়া থেকে কি বাঁচাতে পারবে? নাকি সবুজ সাথী সাইকেল নিয়ে বাংলা ছেড়ে শ্রীলঙ্কা পালাতে পারবেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বিজেপি এলেও থাকবে। তৃণমূলের থেকে এক টাকা হলেও বেশি দেব। কিন্তু দেশটাকে বাঁচান। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচান। তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি জানান সুকান্ত মজুমদার।

