ফের রেকর্ড! ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জন করোনা পজিটিভ রাজ্যে, মৃত আরও ১৪: বুলেটিন

রাজেন রায়, কলকাতা, ১০ মে: রাজ্যে যে করোনা টেস্ট সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে, তার প্রমাণ যেন রাজ্যে প্রতিদিন তৈরি হওয়া নতুন রেকর্ড। রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে ১৫৩ জনের, যা এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বাধিক। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের, সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন।

বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন ১৫৩ জনের করোনা চিহ্নিত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৯৩৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৪ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ১১৩ জন। অন্যদিকে করোনা শরীরে থাকাকালীন আরও ৭২ জনের মৃত্যুর হিসেব ধরলে মোট মৃত্যু ১৮৫ জনের। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪১৭ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ১৩৩৭ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ২১.৫১ শতাংশ।

এছাড়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০৪৬ জনের। সব মিলিয়ে রাজ্যের ১৭ টি মোট করোনা টেস্টের সংখ্যা ৪৩৪১৪ টি। রাজ্যে প্রতিদিনই টেস্টের সংখ্যা খুব উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের ৬৮টি করোনা হাসপাতাল, যার মধ্যে সরকারি ১৬ টি এবং বেসরকারি ৫২ টি, তাতে মোট ৮৫৭০টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ৯০৭ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯২টি। সরকারি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ৫৯২১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮৪৫৮ জন।

বুলেটিনে জেলাভিত্তিক তথ্যে জানানো হয়েছে, কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৮ জন। একদিনে ৩৭ জনের সংক্রমণ বেড়েছে কলকাতায়। আর কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের। তারপরেই হাওড়ায় সংক্রমণ হয়েছে ৪১৭ জনের, অর্থাৎ নতুন সংক্রমণ ৪৭ জনের। হাওড়ায় মারা গিয়েছেন আরও ২ জন। আর তারপরে উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ ৫১ জনের, নতুন সংক্রমণ ৮ জনের। এই জেলায় ২ জন করোনা রোগী মারাও গিয়েছেন। এর পরেই উল্লেখ্য, হুগলিতে সংক্রমণ ১২০ জনের, ২৪ ঘন্টায় বেড়েছে ৪৯ জনের। তবে উদ্বেগের বিষয় নতুন সংক্রমণ চিহ্নিত হওয়ায় রাজ্যে ২টি জেলা উত্তর দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম গ্রিন জোন থেকে বদলে গিয়েছে অরেঞ্জ জোনে। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরে ৩ জনের এবং ঝাড়গ্রামে ৩ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফলে রাজ্যের ৫ টি জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর পড়ে রইল গ্রিন জোনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *