আমাদের ভারত, ২৩ এপ্রিল: ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত কাশ্মীরের পহেলগাঁও। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শোকে স্তব্ধ সারা দেশ। ২০০৮- এর পর সাধারণ মানুষের উপর এমন জঙ্গি হামলা দেখা যায়নি। কিন্তু সেটাই ঘটেছে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে। বেছে বেছে নিরাপরাধ হিন্দু পর্যটকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে শরীর। সারা পৃথিবীতে যখন এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে, তখন ভারতের মাটিতে বসে এক মৌলবী এই ঘটনার প্রশংসা করলেন, উল্লাস করলেন। ধন্যবাদ জানালেন পাকিস্তান এবং লস্কর- ই তৈবাকে।
বুধবার ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার এক মৌলবী গ্রেপ্তার হয়েছেন। পেহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। সারা ভারত যখন শোকে ডুবে সেখানে নিজের দেশের মাটিতে বসেই পাকিস্তানের প্রতি উল্লাস প্রদর্শন করে লস্কর- ই- তৈবার প্রশংসা করে নিজের এক্স হ্যান্ডালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
উর্দুতে তিনি লিখেছেন, “ধন্যবাদ পাকিস্তান। ধন্যবাদ লস্কর- ই- তৈবা। আল্লাহ আপনাদের সর্বদা মঙ্গল করুন। আমিন আমিন।” তিনি আরো লিখেছেন, “আরএসএস, বজরং দল, বিজেপি আর মিডিয়াকে টার্গেট করা হলে আরো খুশি হতাম।”
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই মৌলবীর নাম মহম্মদ নওশাদ। ৩৫ বছর বয়সী এই মৌলবী বিহারের মাদ্রাসা থেকে কোরানের উপর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে বাবার সঙ্গে বোকারোতে থাকেন। অভিযুক্তের ভাই কর্মসূত্রে দুবাইয়ের বাসিন্দা। সেখানকার এক সিম কার্ড ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া চালান তিনি।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে পহেলগাঁও হামলার পর ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট করার অভিযোগে সে রাজ্যের দামোহ জেলা থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই ধরনের পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমেও নজর আছে পুলিশের। ২৩ এপ্রিল ওয়াসিম খান এবং তানবীর কুরেশি নামে ওই দুই ব্যক্তি আপত্তিকর পোস্ট করেন। কাশ্মীরের ঘটনার উল্লেখ করে পোস্টগুলি এক ধর্মীয় সম্প্রদায়কে উসকে দিতে পারে বলে মনে করা হয়েছে।