সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৫ জুলাই: ভোটের মুহুর্তে পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বদলকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না তৃণমূলের একটা বড় অংশ। দলে এর বড় রকম প্রভাব পড়তে পারে পুরুলিয়া জেলায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে, যার সুফল পাবে বিজেপি।এমনটাই মনে করছেন প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর অনুগামীরা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠতে শুরু করেছে। হাই কমান্ডের কু-নজরে পড়ার আশঙ্কায় প্রকাশ্যে এখনও এর বিরোধিতায় নামেননি। তবুও আড্ডাস্থলে, ফোনে কথা চালাচালি চলছে জোর কদমে।
জেলার অন্যান্য প্রাক্তন নেতা ও সংগঠকরা জানান, এই মুহুর্তে সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোকে সরিয়ে কার্যত বিজেপিকে জেলায় জায়গা করে দেওয়ারই সামিল। দলীয় হাই কমান্ডের কঠোরভাবে সমালোচনা করে ওই সংগঠকরা বলেন, এর আগে যখন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জেলায় খারাপ ফল হল তখন কেন সভাপতি বদল করল না হাই কমান্ড? ভোটের মুখে যখন একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর মুখে রয়েছে তখন নেতৃত্ব বদল করল। নেতৃত্বে নতুন মুখ সফল হবে না বলেই তৃণমূল ওই সংগঠকদের অনুমান।
প্রসঙ্গত, জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর স্থানে আদিবাসী নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডুকে জেলা সভাপতি করে তৃণমূল কংগ্রেস। গুরুপদ বাবু এর আগে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সন্ধ্যা রানি টুডুর স্বামী গুরুপদ টুডু। মানবাজারের কাদলাগোড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক তিনি।
করোনা আবহে এবং লকডাউনের বাজারে পুরুলিয়া জেলায় এখন এই নিয়েই চর্চা চলছে জোর কদমে। আড়াল পড়েছে পুরুলিয়া শহরে বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ে বাড়ি থেকে সংক্রমণের আলোচনা।

