Mekhla, Language, “ভাষা আন্দোলন বিলাসিতামাত্র”, প্রকাশ্যেই কটাক্ষ শিল্পী মেখলার

আমাদের ভারত, ২৯ জুলাই: “যে দেশের লোকেদের কাজ পেতে ছুটতে হয় অন‍্য দেশে, শিক্ষকরা পথে, শিক্ষা ব‍্যবস্থা লাটে, আর নিজেদের শিক্ষিত প্রমাণ করার জন‍্য মাতৃভাষা বাদ দিয়ে ইংরেজির চর্চা হয় ঘরে ঘরে, সেখানে ভাষা আন্দোলন বিলাসিতামাত্র। এ তো নিজেদের বিরুদ্ধেই নিজের প্রতিবাদ!”

কোনও দল বা নেতা- নেত্রীর নামোল্লেখ না করে
এভাবে তথাকথিত ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করলেন শিল্পী মেখলা দাশগুপ্ত। পেয়েছেন নেটনাগরিকদের সমর্থনও।

পারমিতা দলুই লিখেছেন, “যথার্থ বলেছেন ম্যাম”। মৃণাল কোলে লিখেছেন, “ঠিক বলেছেন দিদিভাই। দেবায়ন ঘোষ লিখেছেন, “আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি।” অলোক বিন্দু লিখেছেন, “এই রকম সত্যি কথা সবাই বলতে পারে না এই রাজ্যে। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ মেখলা।”

পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “ঠিক কথা। আমি সহমত।” শতরূপা ঘোষ লিখেছেন, “একদম ঠিক বলেছো বোন।” অভিজিৎ সড়েঙ্গি লিখেছেন, “এতো সুন্দর সার সংক্ষেপ অনেকদিন পরে দেখলাম।” প্রসেনজিৎ সেনগুপ্ত লিখেছেন, “একশ ভাগ একমত”।

দীপা গাঙ্গুলি লিখেছেন, “যা, মেখলা তুমি মহানায়ক পুরস্কার পাবে বলে মনে হয় না। তোমার পোস্টের সাথে সহমত জ্ঞাপন করলাম। অনেক বড় হও।” সৌরভ রাজীব রায় লিখেছেন, “দেশ নয়, রাজ্য লিখুন… ব্যাঙ্গালোর, হায়দরাবাদ, পুনে, মুম্বই- এর শিক্ষিত ছেলে, মেয়েদের এই রাজ্যের ছেলে, মেয়েদের মতো এতটা দূরবস্থা হয়নি।”

মেখলা এ ব্যাপারে একটি মন্তব্যে অরিজিৎ সাহাকে লিখেছেন, “মাতৃভাষার অপমান প্রতিদিন অসংখ‍্য বাঙালি করে, অবহেলা করে। মাতৃভাষার চর্চার অবনমনের জন‍্য বাঙালি নিজে অনেক বেশী দায়ী।

শঙ্খ মহাপাত্র লিখেছেন, “সব ভোটের রাজনীতি।” অরিন্দম সৎপতি লিখেছেন, “এই জীবনে আবার ভারত ছাড়ো (বিজেপি ভারত ছাড়ো) আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, এটা কি কম ব্যাপার?” এক শুভানুধ্যায়ী লিখেছেন, “সহমত পোষণ করছি। মাতৃভাষার ওপর নিখাদ ভালোবাসা অধিকাংশ বাঙালির নেই। এখন যেটাকে ‘ভাষা আন্দোলন’ বলে দাবি করা হচ্ছে সেটা পুরো রাজনৈতিক। ভাষার প্রতি প্রকৃত আবেগ থেকে নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *