আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৯ নভেম্বর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপরিষদের উন্নয়নমুলক কাজ নিয়ে ফের মমতার ভরসার পাত্র হলেন সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্যা ও প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। মঙ্গলবার দুপুরে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কাছে টেনে নিলেন জেলার পুরোনো দুই মুখকেই। সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যেই সহকারী সভাধিপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর পরামর্শ নিয়ে জেলা পরিষদের উন্নয়নমুলক কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার কড়া নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। মেন্টর হিসাবে শুভাশিস পালকে জেলাপরিষদের চেয়ারে বসিয়ে দলের তরফে বাড়তি গুরুত্ব দেবার চেষ্টা করলেও, এদিন মমতার কাছে কোনও গুরুত্বই পায়নি শুভাশিস ওরফে সোনা পাল।
এদিন সভার শুরুতেই সভাধিপতির অনুপস্থিতি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই জেলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে ভৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। টাকা এসেও কাজ হচ্ছে না কেন জানতে চাইতেই জেলাশাসক পুরো দোষ চাপান সভাধিপতি লিপিকা রায়ের উপর। ১৮ আসন বিশিষ্ট জেলাপরিষদে ১৩ জন একদিকে আর অন্যদিকে ৫ জন থেকে কাজ করতে দিচ্ছে না বলতেই জেলাশাসককে ধমক দেন মমতা। এরপরেই সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্যাকে মঞ্চে ডেকে সমস্যার উদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে ডেকে নেন প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকেও। জেলা ও উত্তরবঙ্গের অন্যতম আইনজীবী হিসাবে শঙ্কর চক্রবর্তীর পরিচয় দিয়ে জেলাপরিষদের আইনী জটিলতার ব্যাখ্যা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার পরেই শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, আর কোনও জটিলতা নেই জেলা পরিষদে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী সচিবদের এব্যাপারে তদারকি করে আগামী সাতদিনের মধ্যেই সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে জেলার উন্নয়ন মুলক কাজে সকলকে নিয়ে ঝাঁপ দেবার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে।
সভাধিপতি না থাকলে কাজ থেমে থাকবে না বলেই সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্যাকে দাঁড় করিয়ে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই সমস্ত কাজ করবার নির্দেশ দেন জেলাশাসককে। একই সাথে আইনগত পরামর্শ নেবার জন্য শঙ্কর চক্রবর্তীকেও সঙ্গে রাখবার কড়া নির্দেশ দেন মমত। যাকে ঘিরেই জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে কি একসময়ে সভাধিপতির চেয়ারে থাকা ললিতা টিগ্যা ও প্রাক্তন পুর্ত মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর উপরেই জেলার উন্নয়নে আরো একবার ভরসা রাখলেন মমতা। এদিনের সভা থেকে উস্কে উঠেছে সেই প্রশ্নই।