Saraswati, Bankura, ব্যতিক্রমী! বাঁকুড়ায় সরস্বতীর সঙ্গে পূজিত হন লক্ষ্মী- কার্তিক ও গণেশ

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২ ফেব্রুয়ারি: সরস্বতী পূজায় হুমকি কান্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য। তারই মাঝে বাঁকুড়া জেলাজুড়ে আয়োজন দেবী সরস্বতীর আরাধনার। এরই মাঝে অন্য ধরনের সরস্বতী পূজায় মেতে উঠেছে বাঁকুড়ার ওন্দার রতনপুর গ্রাম। এখানে দেবী সরস্বতীর সাথে লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিকও পূজিত হন। এলাকার পরম্পরা মেনে বসন্ত পঞ্চমীতে শুরু হয়ে একটানা ন’দিন ধরে চলে এই রতনপুর গ্রামের সরস্বতী পূজা।

এই গ্রামে মূর্তি তৈরি করে দুর্গাপুজোর চল নেই। কিন্তু দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করে সরস্বতীর পুজোয়। এই ন’দিনেই দেবীর পূজা, অঞ্জলি দেওয়া, ভোগ খাওয়ায়, ঠাকুর দেখা সবই হয় ধূমধাম করে। রতনপুর গ্রামের দাস এবং বিশ্বাসপাড়ায় টানা ন’দিন ধরে চলে সরস্বতী পুজো।এখানে প্রতিমাতেও রয়েছে বৈচিত্র। এখানে দেবী সরস্বতী শ্বেত-শুভ্রবসনা হলেও তিনি একা আসেন না। দেবীর পাশে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিকও থাকেন। দেবী ভগবতীর সঙ্গে এক আসনে থাকেন তারা। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, এখানে মহাপ্রভুকে প্রথম ভোগ নিবেদন করা হয়। সেই ভোগই নিবেদন করা হয় দেবীকে। এই ভোগের আরও একটি বৈশিষ্ট্য আছে। এতে পাকা কাঁঠাল থাকে। একেবারে শুরু থেকেই এই রীতি চলে আসছে।

গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গ্রামের মাঠে রয়েছেন দেবী অম্বিকা।সেই কারণে গ্রামে মূর্তি তৈরী করে দুর্গা পূজার চল নেই। তাই সরস্বতী পুজোকে ঘিরেই থাকে তাদের সব আবেগ, আনন্দ এবং উন্মাদনা। কর্মসূত্রে যারা সারা বছর বাইরে থাকেন সরস্বতী পুজোয় ছুটি নিয়ে সকলেই বাড়ি ফিরে আসেন। প্রতিটি বাড়ি ভরে ওঠে আত্মীয়- স্বজনে। নতুন কাপড়জামা কেনা হয়। এই ন’দিন গ্রামে মেলাও বসে এবং সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। ওন্দার রতনপুর গ্রামে সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে নবরাত্রি পালনের প্রথা চলে আসছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *