আমাদের ভারত, ৩ জুন: চিন ও ভারতীয় সেনার মধ্যে ক্রমশই উত্তেজনা বেড়ে চলেছে লাদাখে। সেই উত্তাপ এবার নিয়ন্ত্রণে আনতে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ। আগামী শনিবার অর্থাৎ ৬ জুন লাদাখ ইস্যুতে ভারত ও চিনের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক হবে।
গত কয়েকদিন ধরে লাদাখ সীমান্তে চিনাসেনার ব্যপক তৎপরতা বেড়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভারতও বিরাট সেনা সেখানে মোতায়েন করেছে। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে সীমান্তে ইতিমধ্যেই চিনাবায়ুসেনা ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে। তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন মোদী, রাজনাথ, দোভাল, রাওয়াত ও তিন বাহিনীর সেনা প্রধান। সূত্রের খবর ভারতের তরফে বার্তা যায় আলোচনা চাইলে ভারত রাজি কিন্তু দেশের গর্ব খর্ব হয় তেমন কিছু হলে চোখে চোখ রেখে যুদ্ধের ময়দানে নামবে ভারতও।
অন্যদিকে চিনা রাষ্ট্রপতিও তার সেনাকে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে ভেবে প্রস্তুতি নেবার কথা বলেন। এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রপতি আবার দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন। যা খারিজ করা হয়। যদিও মঙ্গলবার মোদী ও ট্রাম্পের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ টেলিফোনে কথা হয়। এর মধ্যে চিনা আগ্রাসনের বিষয়ে কথা হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
জানা গেছে ৬ জুন চিন-ভারত সীমান্তে ভারতের অন্তর্গত চুশুল মলদো এলাকায় দু’দেশের মধ্যে বৈঠক হবে। বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকেরা বলছেন সমস্যা সমাধানে দুই দেশ যে আলোচনার টেবিলে বসতে সম্মত হয়েছে তা অবশ্যই একটি পজিটিভ দিক।
এর আগের লাদাখ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বহুবার স্থানীয় স্তরে কথা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। একটি রাস্তা তৈরি নিয়ে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর মে মাসের ৯-১০ তারিখ দু-দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নিয়েছিল।
এর আগে ১৯৬২ ভারত-চিন যুদ্ধের পর ২০১৬-য় ডোকলাম নিয়ে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল ভারত চিনের মধ্যে। এরপর পর আবার সম্প্রতি লাদাখে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে।