আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৩ জুন: অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে কলেজের তিনজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠালেন অধ্যক্ষ। জলপাইগুড়ি শহরের ডিভিসি রোডের আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের ঘটনা। যদিও আন্দোলনকারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের দাবিতে অনড়, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি তুললেন তাঁরা। আইনি নোটিশের আইনিভাবে উত্তর দেবেন তারা এমনটাই জানিয়েছেন।
কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করছেন কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী। তাঁদের আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন ছাত্র ও স্থানীয় পুজো কমিটি।
বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “কলজের শিক্ষক দেবাশীষ সিংহ মহাপাত্র, সব্যসাচী বসু ও শিক্ষিকা মৌমিতা সেনগুপ্ত আমাকে অপমান করেছেন। আমার সন্মান নষ্ট হয়েছে আগামীতেও সন্মান নষ্ট হতে পারে। আইনিভাবে তিনজনকে নোটিশ পাঠানো হল আইনজীবীর মাধ্যমে। নোটিশে উল্লেখ করা আছে, পাঁচ দিনের মধ্যে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে তার প্রমাণ জমা করতে হবে। যদি এর পরেও নোটিশের উত্তর ও প্রমাণ না দেখাতে পারে তাহলে ক্রিমিনাল ও সিভিল মামলা করা হবে। এছাড়া যে আমার যে সামাজিক সম্মানের ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। শুধু তাই নয় সংবাদ মাধ্যমে কাছে ভুল অভিযোগ যেহেতু করা হয়েছে সেই কারণে সংবাদ মাধ্যম ও অধ্যক্ষের কাছে লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে।”
যদিও আন্দোলনকারী শিক্ষক- শিক্ষিকারা নিজেদের দাবিতে অনড়। সকলের হয়ে কলেজের হেড ক্লার্ক রাজীব চৌধুরী বলেন, “পরিচালান সমিতির সঙ্গে আলোচনা না করে কিভাবে নোটিশ পাঠালেন জানা নেই। আমরা আইনিভাবে উত্তর দেবো। সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমরা এখনো বলবো উনি দুর্নীতিগ্রস্ত অপসারণের দাবিতে আমরা অনড়।”