অনুব্রত’র গড়ে এবার রুটি পাটালি দেওয়ার নিদান কুণাল ঘোষের

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৩০ ডিসেম্বর: অনুব্রত মণ্ডল হীন বীরভূম। কিন্তু দল যে তাঁর দেখানো পথেই চলবে জানিয়ে দিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাই গুড় বাতাসার লাইনে হেঁটে বিরোধীদের রুটি পাটালি দেওয়ার নিদান দিলেন তিনি।

২৭ ডিসেম্বর বীরভূমের নলহাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুল মাঠে সভা করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার একই মাঠে তারই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সভায় কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন দলের বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “দিন কয়েক আগে এখানে বিজেপির একজন এসেছিলেন। তিনি এখানে এসে গুড় বাতাসা, নকুল দানা খুব মিস করেছেন। তাই আমি বলছি বীরভূমের গ্রামে গ্রামে গুড়ের পাটালি খুব ভালো হয় শীতকালে। বিরোধীরা এলে অতিথির মতো রুটি আর গুড় পাটালি খাওয়াবেন। শুধু সিবিআই, এনআইএ পাঠিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে শেষ করা যাবে না”। এরপরেই মেজাজ হারিয়ে শুভেন্দুর নাম করে তাকে প্রতিষ্ঠিত চোর, জোচ্চোর, চিটিংবাজ শুভেন্দু অধিকারী বলে ক্ষোভ উগড়ে দেন।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে খুব বেশিদিন জেলে আটকে রাখা যাবে না। উনি নিজের মতো করে আইনি লড়াই লড়ছেন। তবে মনে রাখবেন অনুব্রত মণ্ডল জেলায় যে সংগঠন করে গিয়েছেন তারই ফল মাঠের কানায় কানায় মানুষের মাথা দেখা যাচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনও অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই চলবে। তবে ভোট হবে শান্তিপূর্ণভাবেই”।

বন্দে ভারতকে ধন্দে ভারত বলে কটাক্ষ করেছেন কুণাল ঘোষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “শুভ কাজ করতে গেলে আমরা দুগ্গা দুগ্গা বলে থাকি। কিন্তু এরা জয় শ্রীরাম বলছে। এরা স্থান কাল পাত্র কিছুই জানে না। এরা রামকে সম্মান জানাতে নয়, অসৌজন্যতা, অসভ্যতা করতেই ট্রেনের উদ্বোধনে রামের নাম নিয়েছেন। এখানেই আমাদের আপত্তি রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাষায় সম্বোধন করেছেন সেটা চূড়ান্ত অসভ্যতা। এখন উনি উগ্র হিন্দুত্ব হয়েছেন। উনি হচ্ছেন বানর সেনার ডিফেক্টিভ বাঁদর”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *