স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ আগস্ট: উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জে কুলিক নদী তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত কোতগ্রাম পালপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী সংলগ্ন হওয়ায় নদীর পাড় ভাঙ্গনের সাথে সাথেই বিদ্যালয় ভবনের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়ে। ভবনের ২ টি ঘরে দেখা দিয়েছে ভয়ঙ্কর ফাটল৷ নীচে মাঝবরাবর অংশ ফেটে গিয়েছে। বেশ কিছুটা অংশ ধসেও গিয়েছে। ধীরে ধীরে শ্রেণিকক্ষ গুলিও নদীমুখী হয়ে পড়েছে। মূলতঃ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ প্রথম শ্রেণির কক্ষটি ও মিড ডে মিলের রান্নাঘর। এমতাবস্থায় তীব্র আতঙ্কে ভুগছে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।

তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে একটু একটু করে বিদ্যালয় ভবন ধ্বংস হতে বসেছে। কিন্তু তার সংস্কারের ব্যপারে কারও কোনো হেলদোল নেই। এই অবস্থায় বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তাদের ফেরত না আসা পর্যন্ত আতঙ্কে থাকতে হয়। আচমকা কোনো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে? তা নিয়েই প্রশ্ন অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিদ্যালয় ভবন যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে তা নিয়ে পড়ুয়াদের চোখেমুখেও স্পষ্ট দুশ্চিন্তার ছাপ। রান্নাঘরেও ফাটল ধরায় আতঙ্কিত রাঁধুনিরা। তার মধ্যেই হাতা কুন্তি ধরতে হচ্ছে তাদের। অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তারাও।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা রায় বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন। তিনি জানান, শুরুর সময় থেকেই একটু একটু করে শুরু হয়েছে ধ্বংসলীলা। তাঁর দাবি শুরুতে বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ছিল সাড়ে দশ শতক। কিন্তু বন্যার জলে তা ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন সামান্য কিছু অবশিষ্ট রয়েছে। তাও যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সেচ দফতর সহ একাধিক সরকারি বিভাগে জানালে এখনও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। শনিবার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সত্যজিত বর্মন জেলায় ফিরতেই তার কাছে এই বিদ্যালয়ের বেহাল পরিকাঠামোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে। পরিদর্শন ও প্রয়োজনঅনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বাস দিয়েছেন।

