রাজেন রায়, কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর: লকডাউনের সময় বিপুল হারে বেড়ে গিয়েছে বাইক এবং স্কুটার বিক্রি। কিন্তু সেই হারে লাইসেন্স পাননি সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, ঠিকমতো না শিখেই রাস্তায় নেমে বহু মানুষ দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছেন। যার ফলে কাজের চাপ বাড়ছে কলকাতা পুলিশের। সেই কারণে দু বছর আগের সেই পুরনো নীতিতে ফিরে যেতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। এখন পর্যন্ত যাদের মোটরবাইক ও স্কুটার কেনা হয়ে গেছে এবং যারা এরমধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে দিয়েছেন, তারা ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে মোটরবাইক বা স্কুটার বিক্রি বন্ধ করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ, এমনটাই লালবাজার সূত্রের খবর।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রাজ্য সরকারের নেওয়া কর্মসূচি ‘সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ এর অংশ হিসেবে এমন কড়াকড়ি ২০১৮ সালে চালু করেছিল মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন। সেই সময় কলকাতায় পরিবহন দফতর অফিসে জেলাস্তরের পরিবহন দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও তৎকালীন পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্স করে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। বলা হয়, কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স না দেখাতে পারলে তার কাছে কোনো বিক্রেতা মোটরসাইকেল বিক্রি করতে পারবেন না। এমন ঘটনা ঘটলে বিক্রেতার ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল সহ আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে। তবে পরে এই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ জারি করেছিল মমতার সরকার। তাতে কোনো বাইক-চালকের মাথায় যদি হেলমেট না দেখা যায় তবে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ ওই মোটরসাইকেলে তেল বিক্রি করবে না। পেট্রোল পাম্পের মালিকরা যাতে কোনও রকম ফাঁকি না দিতে পারেন, তার জন্য প্রত্যেক পাম্পে বাধ্যতামূলক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ইনস্টলও করতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সাড়া পড়ে এবং সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকটাই কমে যায়। এবার ফের রাজ্য সরকার ‘নো ড্রাইভিং লাইসেন্স নো মোটরসাইকেল’ এই নীতি শুরু করলে দুর্ঘটনা আরও কমবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।