সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৭৮এপ্রিল: কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। কিন্তু লকডাউনের বাজারে পর্যটকের অভাবে তাদের মালিকদের মাথায় হাত। আর খাবারের অভাবে রুগ্ন হয়ে পড়েছিল ঘোড়াগুলিও। এই পরিস্থিতিতে ‘আশারি’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় ময়দান এবং হেস্টিংস মাজার এলাকায় ৪১ জন দরিদ্র ঘোড়ার মালিককে প্রায় ১৫০টি ঘোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিল কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ।
ময়দান ও ভিক্টোরিয়া-সংলগ্ন এলাকায় ঘোড়ার পিঠে পর্যটকদের চাপিয়েই রোজগার করতেন এই ঘোড়াগুলির সহিসরা। কিন্তু সেই রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফলে ঘোড়ার খাবার তো দূর, নিজেদের খাবার জোগাড় করাই অসম্ভব হয়ে উঠেছিল এদের মালিকদের কাছে।
বার্লি, গমের খোসা ও আরও নানারকমের খাদ্যশস্য মিশিয়ে তৈরি হয় ঘোড়ার খাবার। ঘোড়াগুলির দুরবস্থার কথা জানতে পেরে কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ ও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যৌথভাবে ঘোড়ার খাবার, দানা ও ভুসি কিনে নিয়ে আসে। যদিও এই খাবারে মাত্র কয়েকদিন চলবে ঘোড়াগুলির। ১৫০ ঘোড়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কেজি খাবার প্রয়োজন। এখন সেই খাবারের দাম ১৫ হাজার টাকা। তবে পরে আবার কী করে এদের খাবারের বন্দোবস্ত করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।