আমাদের ভারত, ২৯ অক্টোবর:
মরণ-বাঁচন ম্যাচে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে হারলেই চলতি আইপিএলে প্লে অফে যাওয়ার আশা তাদের কাছে শেষ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় ম্যাচ শেষ দুটো ম্যাচ জেতার পাশাপাশি বড় ব্যবধানে তাদের জিততে হবে। অন্যদিকে চলতি আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
আই পিলে প্লে অফে যাওয়ার জন্য চেন্নাই বাদে বাকি দলগুলি একে অন্যের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে। এদিনের ডু অর ডাই ম্যাচে শাহরুখ খানে দল কোন ভুলচুক করতে চায় না। তবে কেকে আরের মূল লড়াই কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে।তাদের পয়েন্ট তালিকা সমান। দুটি টিমই এখনো দুটো করে ম্যাচ পাবে। তাই এদিন শুধু ধোনিদের হারালেই চলবে না নেট রান রেট বাড়িয়ে নিতে হবে তাদের।
কিন্তু যেহেতু ধোনির দলের সামনে কোন চাপ নেই তাই তারা খোলামনে খেলতে পারবে যেটা বিপজ্জনক হতে পারে মর্গ্যানদের কাছে। সি এস কে তাদের শেষ ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে আট উইকেটে হারিয়ে দেয়। কেকেআরের মূল দুর্বলতা তাদের ধারাবাহিকতার অভাব। রাসেল ফর্মে নেই, সেই সঙ্গে চোট। বড় দরে কেনা হয়েছিল কামিন্সকে। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যার্থ তিনি। ১২ ম্যাচে পেয়েছে মাত্র ৬ টা উইকেট।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ রিপোর্ট বলছে, পিচ শুকনো। তবে যারা শেষে ব্যাটিং করবে তাদের ক্ষেত্রে শিশির কিছুটা ফ্যাক্টর হতে পারে। তবে যারা প্রথম ব্যাটিং করবে তারা ২০০ রানের বেশি তুললে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
তবে কে কে আর কে ভাবাচ্ছে ওপেনিং জুটি। শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করবে কে? পাওয়ার প্লে তে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে নারিন নির্ভরযোগ্য। তাহলে কি কামিন্সকে বেঞ্চে বসতে হবে। রাসেলকে কি নামাতে কি ঝুঁকি নেবে কেকে আর নাকি টম ব্যান্টনকে আরো একটা সুযোগ দেবে সেটাও প্রশ্ন। তবে হারলে বিদায় নিশ্চিত কেকেআরের। তাই শেষ বেলায় কি জ্বলে উঠবে নাইট ব্রিগেড। শাহরুখের মতো তাকিয়ে গোটা দেশও।