আমাদের ভারত, ২২ জুলাই:
ইডি, সিবিআইকে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটা জনতা বুঝতে পেরেছে। এবারের একুশে জুলাই সমাবেশের থিম হওয়া উচিত ছিল জেনে গেছে জনতা, ভয় পেয়েছে মমতা। এভাবেই তৃণমূলের সমাবেশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক একুশে জুলাই সমাবেশকে সাহস ও হিম্মতের সমাবেশ বলে তুলে ধরতে চাইলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, এবারের একুশের থিম একটাই, “জেনে গেছে জনতা ভয় পেয়েছে মমতা।” সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজকের সভায় অন্তত ১০০ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি, সিবিআই আর ভয় এই তিনটি শব্দ বলেছেন। এর থেকেই স্পষ্ট তিনি ভয় পাচ্ছেন।
একুশের মঞ্চ থেকে মহারাষ্ট্রের সরকার পড়ে যাওয়া নিয়ে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “মহারাষ্ট্রে সরকার ভেঙে দিয়েছে, তারপর ছত্তিশগড়, তারপর নাকি বাংলা। আমি ওদের বলি বাংলায় কিন্তু রয়েল বেঙ্গল থাকে, খুব সাবধান।”
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এখানেও দিদিমণি ভয় পেয়েছেন। বিজেপিকে সরকার ভাঙতে হবে না। এমনিই তৃণমূল কংগ্রেস দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একটা হরিশ চ্যাটার্জি রোড তৃণমূল, আর একটা হরিশ মুখার্জি রোডের তৃণমূল।”
১০০ দিনের কাজের টাকা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দিল্লি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “ঘেরাও করলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাওয়া যায় না। সবাই জানে নিয়ম কী। কাজ হলে, আগের হিসেব দিলে তারপরের কিস্তির টাকা ঢোকে। হিসেব না দিলে টাকা দেবে কী করে? তুমি এদিকের টাকা ওদিকে ঢালবে, সেসব করে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলে না।”
একুশে জুলাই মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দেউচা পাঁচামি প্রকল্প রূপায়ণ হলে বহু মানুষ চাকরি পাবে, এলাকার উন্নতি হবে। কিন্তু সুকান্তর অভিযোগ, দেউচা পাঁচামি প্রকল্প হলে স্থানীয় আদিবাসীরা বঞ্চিত হবেন। তার দাবি, দেউচা পাঁচামি কয়লা উত্তোলন লাভজনক হবে না, বিশেষজ্ঞরা এমনটা বলেছেন। কারণ দেউচা পাঁচামিতে পাথরের একাধিক স্তরের পর রয়েছে কয়লা। খনি করার নামে তৃণমূল নেতারা সেখানকার পাথর বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করবেন বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত।