Khatra, TMC, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীকে মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত খাতড়া, গ্রেফতার ৬

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৪ জুন: রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে খাতড়ায়। শুক্রবার রাতে খাতড়া বাজারে মন্ত্রীর স্বামী তুহিন মান্ডির ওপর এই হামলার অভিযোগে ৬ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে খাতড়া থানার পুলিশ। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবি করেছে বিজেপি।

এদিকে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যার কিছু পরে খাতড়া বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে জমায়েত করেছিলো বিজেপি। সেই সময় মুদিখানার সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন তার স্বামী তুহিন মান্ডি। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির ১৫ -১৬ জন কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তার স্বামীর ওপর চড়াও হয়। এতে পিঠে ও ডান হাতে গুরুতর আঘাত পান তার স্বামী। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে রাতেই খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এই নিয়ে খাতড়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে শনিবার খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করে।

মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।সেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তার স্বামীর ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠিক নয়। তার স্বামী রাজনীতি করেন না। এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত। জ্যোৎস্না মান্ডি আরও জানান যে, বিজেপির ঔদ্ধত্য এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। খাতড়াবাসীরা আগামী দিনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এর জবাব দেবে।

যদিও মন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির দাবি, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক দীপক দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় খাতড়া বাজারে তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করার জন্য রুখে দাঁড়ায় বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র‍্যাফ। তারা লাঠিচার্জ করে। সেই সময় লাঠির আঘাতে অথবা তৃণমূলেরই কোনও কর্মীর লাঠির আঘাতে মন্ত্রীর স্বামী আহত হয়ে থাকতে পারেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব রয়েছে, তৃণমূলের লোককে তৃণমূলের লোক মারছে এমন ঘটনাও ঘটেছে।এই হামলার নজর ঘোরাতে এসব রটানো ও পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *