আমাদের ভারত, ২২ ডিসেম্বর: ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের এক জঙ্গি। তেহেরিক উল মুজাহিদিনের সদস্য ঐ জঙ্গির বাড়ি কাশ্মীরের তানপুরায়। নাম জাভেদ মুন্সি। কাশ্মীর পুলিশের রাজ্য এস টি এফের সহায়তায় ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় থেকে পাকড়াও করা হয় জাভেদকে। বহুদিন ধরে জাভেদ পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। রবিবার তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কাশ্মীর নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানাগেছে।
জানা যাচ্ছে, কাশ্মীর সেনাবাহিনীর ওপর একাধিক হামলার সঙ্গে জড়িত ধৃত জাভেদ মুন্সি। ক্যানিং- এ সে তার শালার বাড়িতে এসেছিল।
দিন কয়েক আগে অসম পুলিশ আটজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে, এদের মধ্যে দু’জন বাংলার বাসিন্দা। এখন তেহারি কি উল মুজাহিদিনের সদস্য জাভূদ মুন্সি কেন বাংলায় এসেছিল? শুধুই লুকিয়ে থাকা তার উদ্দেশ্য ছিল, নাকি এখানে নেটওয়ার্ক তৈরি করার কথা ছিল সেটাই এখন দেখার।
বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন ভারতের উত্তর পূর্বে সেভেন সিস্টার ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে খবর। এখন সেই রকম কোনো কাজেই জাভেদ ক্যানিংয়ে এসেছিল কিনা সেটাও ভাবছে পুলিশ।
পুলিশের এক প্রাক্তন কর্তার কথায়, সীমান্ত অতিক্রম করে জঙ্গিরা বাংলায় ঢুকছে। তারপর তারা কাশ্মীর, কেরালা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জন অরণ্যে মিশে যাচ্ছে। এর ফলে সীমান্তে হাই এলার্ট থাকা প্রয়োজন। যাতে একটা লোকও বাইরে থেকে দেশে আসতে না পারে। আর যারা ধরা পড়ছে তাদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, কারণ এর সঙ্গে জনগণের স্বার্থ জড়িয়ে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরালা- সহ একাধিক রাজ্যে জাল বিস্তার করছে জে এম বি আনসারুল বাংলা টিম।জেএমবি আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেটেড ছাতার তলায় থেকে নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে এরা। জে এমবির সদস্যরা বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে। জঙ্গি
সংগঠনগুলির এই বাড় বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারতের গোয়েন্দারা। বিশেষ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জমানায় যেভাবে পাকিস্তানের জাহাজগুলিকে খোলা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ রয়েছে।