আমাদের ভারত,১৯ জানুয়ারি: সংসদে যে আইন পাশ হয়েছে তা মানতে বাধ্য রাজ্য। এমনটাই বলেছেন খোদ কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। কেরলের কোঝিকোরে শনিবার একটি অনুষ্ঠানে সিএএ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল বলেন, সংসদে যে আইন পাস হয়েছে তা মানবো না বলা কঠিন যে কোনও রাজ্য সরকারের পক্ষে।
কেরল ছাড়াও কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব সিএএ কার্যকর করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তার জন্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
সিএএ প্রত্যাহারের প্রস্তাব প্রথম বিধানসভায় পাশ করিয়েছে কেরল সরকার। একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টেও এই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিহার জানিয়েছে সিএএ কার্যকর তারা হতে দেবেন না।
কিন্তু সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া আইন রাজ্যে আদৌ কার্যকর না করার ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়ে রবিবার একটি টুইট করেন কপিল সিব্বল। সেখানে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি সিএএ সংবিধানবিরোধী। এই আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করানো প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তবে সুপ্রিমকোর্ট যদি এই আইনের বৈধতায় সীলমোহর দিয়ে দেয়, তাহলে সমস্যা রয়েছে।
এন পি আর প্রসঙ্গে কপিল সিব্বল বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জী উপর ভিত্তি করেই এনআরসি হবে। রাজ্যস্তরে আধিকারিক কর্মীরা এনপিআর নথিভুক্ত করবে। ফলে এই ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেখানে সাহায্য না করার ক্ষমতা আদৌ রাজ্যের আছে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস আরো এক বর্ষীয়ান নেতা সালমান খুরশিদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের ওপরেই নির্ভর করছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ভবিষ্যৎ।