কাঁথির মেজবাবুকে নন্দীগ্রামের মাটিতেই হারাব, ব্যারাকপুরে চ্যালেঞ্জ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৯ জানুয়ারি: “কাঁথির মেজবাবু বলেছে কুঁড়ি ফুটেছে, ফুল ফুটবে। রামনবমী এখনো আসেনি। আমি বলছি, তার মানে কি রামনবমীতে ওরা দাঙ্গা করার চেষ্টা করবে? আর রামনবমী কি বিজেপির পেটেন্ট সম্পত্তি না কি? বিজেপির থেকে হিন্দুত্ব শিখব না। ওরা রামনবমীতে দাঙ্গা করতে আসলে সেই জায়গাতেই ওদের আটকে দিন। যে দাঙ্গা করতে আসবে, সে যেন ওখান থেকে ফিরে যেতে না পারে। বাংলার মাটিতে এসব চলবে না।” ব্যারাকপুরে তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় দাঁড়িয়ে বললেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে তুই বলে সম্বোধন করে বলেন, “নন্দীগ্রামের মাটিতেই মেজবাবুকে হারাব, যদি দম থাকে এবারও নন্দীগ্রামে দাঁড়ক। এত বড় জননেতা যদি হয়, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৪ এ কেন হেরেছিলি? ২০০৯ তে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে আমরা ১৯ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলাম। তাতে তোর কোনও ক্রেডিট নেই। ২০০৭ এর ১৫ই মার্চ যদি আমি সেদিন সিবিআইয়ের অর্ডার না করাতাম, তুই খাটের তলা থেকে থেকে বেরোতে পারতি না।” এর পরেই তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “মাঠে এস, লড়ে নেব। বিজেপি নেতাদের বলি শ্রীরামপুরের মাটিতে গুন্ডামি করলে হাত ভেঙ্গে দেব।” উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর রেল স্টেশন চত্বরে জনসভায় এসে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এভাবেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে খ্যাপা ষাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “বঙ্গ বিজেপি এখন খ্যাপা ষাঁড়ের মত দৌড়ে বেড়াচ্ছে। ওদের রাজ্য সভাপতিকে খ্যাপা দিলীপ বলতাম। সে খ্যাপা ষাঁড় হয়ে গেছে। খ্যাপা মানুষের চিকিৎসা হয়, কিন্তু খ্যাপা ষাঁড়ের কি কোনও চিকিৎসা আছে?–নেই। তাই দিলীপ ঘোষ আর সুস্থ হবে না।”

ব্যারাকপুরের তৃণমূলের প্রতিবাদ সভায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজাতা খাঁ, পার্থ ভৌমিক সহ ব্যারাকপুর মহকুমা তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এই জনসভায় কয়েক হাজার তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এদিনের জনসভায় বিশিষ্ট ফুটবলার স্বপন সেনগুপ্ত সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় বিজেপি নেতা ও কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী ২ বছরের মধ্যে ব্যারাকপুরকে আমরা বিজেপি শূন্য করে দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *