“অভিষেক বচ্চন ঝুলে পড়লে বা শ্বেতার শ্লীলতাহানি হল??” জয়াকে পাল্টা জবাব কঙ্গনার

আমাদের ভারত, ১৫ সেপ্টেম্বর: নাম না করে সংসদে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ তথা বলিউডের অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তার তোলা সাওয়ালের একেবারে চাঁচাছোলা উত্তর দিলেন কঙ্গনা। সেই উত্তর দিতে গিয়ে টেনে এনেছেন জয়া বচ্চনের দুই সন্তান শ্বেতা ও অভিষেকের নাম।

টুইটারে জয়া বচ্চনকে জবাব দিতে গিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, “আমার জায়গায় যদি আপনার মেয়ে শ্বেতা থাকতেন, তাকেও যদি মারধর করা হতো,কিশোরী অবস্থায় টেনে হিচরে শ্লীলতাহানি করা হতো, তাহলেও কি আপনি এই একই কথা বলতেন? যদি অভিষেক সবসময় হেনস্তার অভিযোগ করতেন এবং একদিন তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যেত, তাহলেও কি আপনি এই একই কথা বলতেন? আমাদের প্রতি সমবেদনা জানান”।


রাজ্যসভার জিরো আওয়ার নাম না করে এদিন জয়া বচ্চন কঙ্গনার তুলোধনা করেছিলেন। জয়া বলেছিলেন মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অপমান করার ষড়যন্ত্র চলছে এটা লজ্জার।

সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই জিরো আওয়ারে জয়া বচ্চনকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে বলিউডে ড্রাগ যোগের বিষয়টিও উঠে আসায় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিকে আঙ্গুল উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে জয়া এদিন তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন,” বিনোদন জগতের মানুষদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভৎসনার শিকার হতে হচ্ছে। যেসব লোকেরা এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসে নাম কামিয়েছেন তারাই এখন একে নর্দমা বলছেন। আমি এর সঙ্গে একেবারেই সহমত নই। আশা করব এই ধরনের মানুষদের এই ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলবে সরকার।”

দিন কয়েক আগে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে গটর বা নর্দমা বলে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন ইন্ড্রাস্ট্রির ৯৯ শতাংশ মানুষই মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এই একই বিষয়ে বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণের বিরুদ্ধেও আক্রমনাত্মক সুরে জয়া বলেছিলেন, “মাত্র কয়েক জনের জন্য গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে আপনি কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন না। আমি লজ্জিত যে গতকাল আমাদের লোকসভার এক সদস্য যিনি নিজেই এই ইন্ডাস্ট্রির লোক, এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, এটা লজ্জার।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সোমবার বিজেপি সাংসদ রবি কিষন বলেন ,দেশের যুব সম্প্রদায়কে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। আর তাতে যোগ দিয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির। প্রতিবছর চিন, পাকিস্তান থেকে দেশে মাদক পাচার করা হচ্ছে। পাঞ্জাব নেপালের মধ্যে দিয়ে আসছে মাদক। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও মাদকাশক্তি রয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে ধরা হয়েছে। খুব ভালো কাজ করছে এনসিবি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র সরকার। তাদের কঠোর শাস্তি দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির ষড়যন্ত্র বন্ধ করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *