আমাদের ভারত,৬ মার্চ: সংকটের মুখে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। কমলনাথ সরকারের স্থায়িত্ব প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়তে চলেছে। বৃহস্পতিবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নিখোঁজ চার বিধায়কের মধ্যে একজন। অধ্যক্ষ এন প্রজাপতির কাছে নিজের ইস্তফা দিয়েছেন ওই বিধায়ক।
কমল নাথের সরকার গঠন হয়েছে মাত্র১৫ মাস। তার মধ্যেই বিপদের মুখে পড়ল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার। ইস্তফাপত্রে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ করেছেন হরদীপ দং। তার অভিযোগ টানা দুবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও দলের ভেতরে তিনি পাত্তা পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে তিনি কমল নাথের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলেও অভিযোগ করেছেন। বিধায়ক বলেছেন, প্রত্যেক মন্ত্রী এই দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের অংশ। তারা কেউই কাজ করতে চান না।
কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল তাদের ১০ জন বিধায়ককছ গুরগাঁওর হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার মাঝ রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সোনিয়ার দল। এই দশজনের মধ্যে হরদীপ দংও ছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ ঘোড়া কেনাবেচায় নেমেছে বিজেপি। টাকা দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের। দল ভাঙার জন্য ২৫ থেকে ৩৫ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের বলে অভিযোগ।
২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বর্তমানে কংগ্রেসের ১১৪ টি আসন রয়েছে। দুজন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যেও ১১৪টি আসনেরই দরকার। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সঙ্গীদের আসন রয়েছে ৭টি অর্থাৎ ১২১ টি আসন এখন শাসক জোটের দখলে।অন্যদিকে বিজেপির বর্তমানে ১০৭টি আসন রয়েছে। অভিযোগ কর্নাটকের মত বিপুল টাকা দিয়ে কংগ্রেসের বিধায়কদের ঘোড়া কেনাবেচা করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।