পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের কালীপুজোয় দেখা গেল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ অক্টোবর: বিগত বছরগুলির মতো এ বছরও পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে পুলিশ লাইন কালীপুজো কমিটির উদ্যোগে শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন আলতাফ, প্রভাতরা। করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মনিষ্ঠা সহকারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তুলে ধরতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ লাইনের আবাসিকদের উদ্যোগে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়।উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত, আর আই সব্যসাচী মুখার্জি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

পুজো কমিটির সদস্য আলতাফ আলী শাহ ও প্রভাত পড়িয়া জানিয়েছেন, করোনা আবহ কাটিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও নিয়মনীতি মেনেই সম্প্রীতির উৎসব পালিত হচ্ছে। করোনা আবহের জন্য শেষ দুই বছর অন্নকূট বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি। এবছর প্রায় হাজার দশেক মানুষকে অন্নকূট বিতরণ করা হবে।এই পুজোয় ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন সকলেই। পাশাপাশি বিগত বছরের মতো এ বছর‌ও পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ আবাসনে নিষিদ্ধ হয় বাজি ফাটানো। 

পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার আগেই এক বিশেষ নির্দেশে জানিয়েছিলেন, জেলার খড়্গপুর, মেদিনীপুর ও ঘাটাল সহ যেখানে যেখানে ছোটো বড় পুলিশ আবাসন রয়েছে তার চৌহদ্দির মধ্যে বাজি পোড়ানো বা ফাটানো যাবে না। উল্লেখ্য, বিভিন্ন পুলিশ আবাসনগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, পুলিশ নিজে শব্দবাজির বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিলেও তাদের আবাসনগুলিতে এত পরিমাণ বাজি ফাটানো হয় যে আশেপাশের মানুষদের টিকে থাকাই দায় হয়। মধ্যরাত অবধি চলে বাজি ফাটানো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বাজি পুলিশ কর্মীরা বাজেয়াপ্তর তালিকায় না দেখিয়ে নিজেরাই ব্যবহার করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *