সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৫ অক্টোবর: কালী পুজোর রাতে ভক্তদের ভিড়। অনেক রাত পর্যন্ত সব মন্দিরে চলে পূজাপাঠ।প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বাজিও পুড়েছে প্রচুর। কালী পুজোর দিন রাত তিনটে পেরিয়ে গেলেও ভিড় কমেনি মন্দির প্রাঙ্গনে। লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান, রামপুর পলাশতলা মহাশ্মশান, লালবাজার বৈশাখী সংঘ, ইন্দারাগোড়া কালীমন্দির, পাষান কালী মন্দির, বড়কালী মন্দির, রক্ষাকালী মন্দির, ভৈরবস্হান-সহ শহরের সমস্ত মন্দিরে অনেক রাতেও ছিল ভক্তদের পুজোর ব্যস্ততা।
সন্ধে নামতেই ভক্তদের ঢল নামে। রাত যত বাড়তে থাকে জনসমাগমও ততো বাড়তে থাকে। সন্ধে পার হতেই শুরু হয় ঘট আনার প্রস্তুতি। ঢাক ব্যান্ডপার্টি নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে ঘট নিয়ে আসার একটা প্রথা চালু রয়েছে। এদিন দেখা যায় মন্দির, ক্লাবের পুজোয় ঘটা করে ঘট আনার আয়োজন। ইন্দারাগোড়া কালীপূজা কমিটি, বড় বাজারের ত্রিনয়নী ক্লাবের ও দোলতলা শ্যামাপূজা কমিটির পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে বর্নাঢ্য শোডাযাত্রা ছিল উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ছেলেকালী ক্লাব, কমরার মাঠ, দোলতলা ছিন্নমস্তা মন্দিরের পুজোয় বিশাল আয়োজন করা হয়। জুয়েল্স ক্লাবের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২১ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট মূর্তি তৈরী করে চলে মাতৃ আরাধনা।
ইন্দারাগোড়া কালী মন্দিরের পুরোহিত সত্যনারায়ণ ভট্টাচার্য বলেন, মা কালীর আরাধনা তো অমানিশায়।রাতেই তো পুজো। বহু মহিলা সারাদিন উপবাস থেকে অঞ্জলি দেবার জন্য প্রতীক্ষায়।
চাঁদমারীডাঙ্গার পুরোহিত পন্ডিত শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার সারাদিন রাত অমাবস্যা থাকার কারণে ধীরেসুস্হে পূজাপাঠ চলছে।