আমাদের ভারত, ২৩ অক্টোবর: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে ঝিরঝির করে বৃষ্টি। তবে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুরু হয়ে গেছে ঢাকের আওয়াজ। নদী বা পুকুর থেকে নবপত্রিকা স্নান করিয়ে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেবী দুর্গা তাঁর চার ছেলেমেয়ে লক্ষ্মী, গণেশ কার্তিক সরস্বতীকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছেন। শুরু হয়েছে মহাসপ্তমীর পুজো। করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনেই শুরু হয়েছে দেবীর আবাহন।
কিন্তু কী এই নবপত্রিকা
নবপত্রিকা কিন্তু ন’টি গাছের পাতা নয়। ন’টা উদ্ভিদ। নবপত্রিকায় রয়েছে কলা, কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, বিল্ব, দাড়িম্ব, অশোক, মান ও ধান। এই নয়টি উদ্ভিদকে দেবী দুর্গার নয়টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে কল্পনা করা হয়। এই ন’টা উদ্ভিদকে একসাথে লতা দিয়ে বাঁধা হয়। সেই সঙ্গে একজোড়া বেল ও সাদা অপরাজিতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি পড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী স্নান করানোর পর নবপত্রিকাকে নতুন শাড়ি পরানো হয়। ঠিক যেন নববধূ। এরপর তাতে সিঁদুর পরিয়ে গণেশের পাশে দাঁড় করানো হয়। যাকে আমরা বলি কলাবউ।
গবেষকদের মতে, নবপত্রিকার পুজো আসলে শস্যদেবীর পুজো। শস্য বধূকেই দেবীর প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে পুজো করা হয়। হয়তো দুর্গাপুজোর মূলে আছে শস্য দেবীর পুজো।