আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৮ ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। সুতিতে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে যাবার সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার গাড়ি আটকায় বিক্ষোভকারিরা। তারা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। বিজেপি নেতাদের গাড়ি আটকাতে রাস্তায় টোটো দাঁড় করিয়ে রাখেন। যাতে কোনও মতে বিজেপি নেতাদের গাড়ি সুতির দিকে না যেতে পারে। এরমধ্যেই কয়েকজন বিক্ষোভকারি বিজেপি নেতাদের দিকে আসতে শুরু করেন। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামলান।
পুরো ঘটনা জানিয়ে সেই সময় অমিত শাহকে ফোন করেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক। মুর্শিদাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে অমিত শাহর কাছে ফোনে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোনে নালিশের পরেই দ্রুত বিজেপি নেতাদের উদ্ধারে ব্যাবস্থা নেয় পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার ও মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ বিজেপি নেতাদের উদ্ধারে তৎপরতা দেখান বলে দাবি করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
সুতি এবং নিমতিতা যাওয়ার পথে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বিষ্ণুপুরের সাংসদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘ সময় তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের কালো পতাকা দেখানো হয়। ফেরার পথেও পুলিশ তাদের প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকে রাখে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আজ বীরভূম থেকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’কে সঙ্গে নিয়ে মুর্শিদাবাদের সুতি এবং নিমতিতা যাচ্ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ওই এলাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভাঙ্গচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পথে নবগ্রাম থানার সামনে তাদের গাড়ি আটকে দেয় এলাকার মানুষ। তারা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। টোটো গাড়ি দিয়ে পথ আটকে দেয়। কৈলাস বিজয়বর্গীয় গাড়ি থেকে নেমে গাড়ি গুলোকে সরিয়ে দিতে যান। সেই সময় তার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তার নিরাপত্তারক্ষীরা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এরপর ফেরত আসার পথে মোড়গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় নিরাপত্তার স্বার্থেই তাদের গাড়ি আটকানো হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অপদার্থ আমাদের মারার জন্য তারা পরিকল্পনা করে ভুল রাস্তায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল।