জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পরিকল্পনা করে বাবু মাস্টারের উপর হামলা চালিয়েছে, অভিযোগ অর্জুনের, পাল্টা খাদ্যমন্ত্রী    

সুশান্ত ঘোষ, বসিরহাট, ১৪ ফেব্রুয়ারি: একুশের নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। কোথাও শাসকদলের নেতা-কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কখন আবার গেরুয়া শিবিরের সদস্যদের আক্রমণের ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।

বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টারের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতি। কিছুদিন আগেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরেক নেতা মণীশ শুক্লাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার তৃণমূল থেকে আসা আরএক নেতার উপর হামলা। বিজেপির অভিযোগ, বাবু মাস্টারকেও একইভাবে সরানোর চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, বাবু মাস্টার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর হামলার ছক কষা হচ্ছিল। পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছিল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক  তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন। হতে পারে গতকালের এই হামলা জ্যোতিপ্রিয়ই করিয়েছেন। অর্জুন সিংয়ের এই অভিযোগ স্পষ্টতই খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘এটা নব‌্য বিজেপির সঙ্গে পুরনো বিজেপির লড়াইয়ের জের। দীর্ঘদিন ধরেই বাবু মাস্টারের অনেক শত্রু রয়েছে। একটা সময় সিপিএমের গৌতম দেবের ডান হাত ছিলেন বাবু। তখন থেকেই তাঁর অনেক শত্রু।’’

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন ফিরোজ কালাম গাজি ওরফ বাবু মাস্টার নামের ওই ব্যক্তি। শনিবার বসিরহাটে সাংগঠনিক বৈঠক সেরে কলকাতা যাচ্ছিলেন তিনি। মিনাখাঁ থানার কাছে লাউহাটি মোড় এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন কালাম গাজি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাঁর গাড়ি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। তখন তার উপরে দুষ্কৃতীরা বোমাবর্ষণ করে ও গুলি চালায়। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে তাঁদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাবু মাস্টারের দেহ থেকে বোমার একাধিক স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। তবে, আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। আজ তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *