সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৬ জানুয়ারি: পাচারের আগেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২টি সোনার বার-সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বিএসএফ। উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার তেঁতুলিয়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার বার দুটির বাজারমূল্য আনুমানিক ৩৩ লক্ষ টাকা।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা খবর পায়, তেঁতুলিয়ার হাকিমপুর বাজার এলাকা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে সোনা পাচার হচ্ছে। কোম্পানির কমান্ডারের নেতৃত্বে জওয়ানদের ‘কুইক রিঅ্যাকশন টিম’ গঠন হয়। হাকিমপুর বাজার চত্বরে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১২টা নাগাদ বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের দিকে কাঁটাতার পেরিয়ে শফিকুল সানা নামে এক চোরাকারবারী ঢোকে। এরপর তাকে আটক করে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। একটি প্যাকেট উদ্ধার করে বিএসএফ। যার মধ্যে থেকে ৫১১ গ্রাম ওজনের ২টি সোনার বার উদ্ধার হয়। এর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা। পাচারের অভিযোগে শফিকুল সানাকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করে বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত শফিকুল তেঁতুলিয়া এলাকার বাসিন্দা। মুরুটিয়া থানা এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার সুরতলা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সিরাজ শেখ ওই সোনাগুলি ভারতে পাঠান। ধৃত ব্যক্তি কাঁটাতার এলাকা থেকে ওই সোনার বিস্কুটগুলি সংগ্রহ করে গাইঘাটা এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এই কাজের জন্য তাঁকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
ধৃত ব্যক্তি এবং বাজেয়াপ্ত সোনার বিস্কুটগুলি শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি বলেন, “একের পর এক সোনা পাচারের চেষ্টা রুখে দিয়ে বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে আমাদের কাজ আরও সহজ হবে।”

