আমাদের ভারত, ২১ অক্টোবর: নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের। সেখান থেকে ফিরে শেষ পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে মঙ্গলবার ধর্মঘটও স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছেন তারা।
টানা ১৭ দিন অনশন চলার পর শেষ পর্যন্ত নমনীয় হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে রাজ্য সরকার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে তারা অনশন তুলছেন বলে মানতে চাননি জুনিয়ার চিকিৎসকরা। নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা- মা ও বহু সাধারণ মানুষের অনুরোধই তারা এই অনশন তুলছেন বলে জানিয়েছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেবাশীষ হালদার জানিয়েছেন, আপাতত ন্যায় বিচারের দাবিতে আগামী শনিবার আর জি কর হাসপাতালে গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই গণ কনভেনশনে সাধারণ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো কিনা তার দিকে নজর রাখবেন আন্দোলনকারীরা।
দেবাশীষ হালদার বলেন, আজকের বৈঠকে ছাত্র নির্বাচন, রাজ্য স্তরের টাস্ক ফোর্স গঠন সহ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি আমরা আদায় করতে পেরেছি। তবে প্রশাসনের কিছু শারীরিক ভাষা ইতিবাচক লাগেনি। উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা ব্যাজ পরে নবান্নে ঢুকতে দেওয়া হয়নি আমাদের। বারবার ধমক দেওয়া হয়েছে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করার কথা ওনারা বলেছেন সেগুলি হবে কিনা আমরা দেখব।
জুনিয়া চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা- মা ধর্মতলার মঞ্চে এসে অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করেন। বহু সাধারণ মানুষ তাদের একই অনুরোধ করেছেন বারবার। সেই কারণে অনশন কর্মসূচি আপাতত প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
প্রথম দিন থেকে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, আপাতত নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে অনশন তুলে নিলেও ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আবারো অনশনে বসবেন তারা।