শুভেন্দুর ফ্লেক্সে ঢাকছে জঙ্গলমহল

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৮ অক্টোবর:
পুজোর কয়েক দিন আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারীর  ফ্লেক্সে ভরছে ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। শারদ শুভেচ্ছা জানানো এই সমস্ত ফ্লেক্সে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পুজোর আগে গড়বেতা, খড়গপুর এবং  ঝাড়গ্রামের গুটিকতক জায়গায় অনুগামীদের লাগানো ফ্লেক্সে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা গেলেও ষষ্ঠী থেকে অষ্টমীর মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর শুভেচ্ছাবার্তার ফ্লেক্সে ঝাড়গ্রাম শহর ভরে যায়। বড় বড় হোডিংয়ে শুভেন্দুর অনুগামীরা তাকে জঙ্গলমহলের মুক্তি সূর্য জননেতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ঝাড়গ্রাম শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এইসব হোডিং লাগানোর পর শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকাতেও তা ছড়িয়ে দেন।

ঘাটাল, খড়গপুর শহর এবং গ্রামীণ, গড়বেতা, ক্ষীরপাই, মাদপুর, সোনাখালি, চন্দ্রকোনা ও সবং ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সেই ফ্লেক্স জ্বলজ্বল করছে। দলের বাইরে থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা শুধু যে তার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তা নয় তারা দুঃস্থ ও গৃহহীন মানুষদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করছেন। কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া তাদের এই নির্দলীয় জনসংযোগ ক্রমশ বাড়ছে। পুজোর কয়েকদিন আগে শুভেন্দুবাবু লালগড়ের নেতাই গ্রামে গৃহহীনদের বাড়ির চাবি এবং গ্রামের গরিব পরিবারের মহিলাদের সেলাই মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও জঙ্গলমহলের দুঃস্থ পড়ুয়াদের পড়াশোনার সামগ্রী দিয়ে ও জটিল রোগগ্রস্তদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি  এসব সামাজিক কাজকর্ম আগেও করেছেন ঠিকই কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তার অনুপস্থিতি এবং  এভাবে জঙ্গলমহলে অনুগামীদের তৎপরতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে এমনকি তৃণমূলের অন্দরেও নানা রকম প্রশ্ন জাগাতে শুরু করেছে। প্রবীণ তৃণমূল নেতৃত্বের একটি অংশের বক্তব্য, এসব কি যে হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *