পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৩ জুলাই: বাড়ি যাওয়ার জন্য ধৈর্য্য ছিল না। হাসপাতালে পাঁচ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে বাড়ি যাবার চেষ্টা করাই মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম কমল মাঝি (৩০)। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বারিকুল থানার অন্তর্গত লুড়কা গ্রামে।
গত রবিবার বমি ও পায়খানার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হয় কমল। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ভোর হতেই বাড়ি যাওয়ার জন্য পুরুষ মেডিসিন বিভাগের মধ্যে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে কমল। সকলের চোখের নজর এড়িয়ে কমল হাসপাতালে পাঁচ তলার ছাদে উঠে যায়। সেখান থেকে একটি জানলার কাঁচ ভেঙ্গে সোজা নিচে ঝাঁপ দেয়। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যায় জরুরি বিভাগে। জরুরি বিভাগ থেকে পুনরায় পুরুষ মেডিসিন বিভাগে কমলকে পাঠানো হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার। কমলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবারের সদস্যরা।
কমলের শ্বশুর গাঢ় মাঝি বলেন, “বমি ও পায়খানা হওয়ার কারণে আমরা রবিবার হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। গতকাল রাতে ডাক্তারবাবু বলেছিলেন কমলের ছুটি হয়ে যাবে সকলে। আজ সকালে তাকে বাড়ি নিয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু ভোর হতেই হাসপাতালের মধ্যে সে ছোটাছুটি শুরু করে বাড়ি যাওয়ার জন্য। তারপর কখন সে ছাদে গিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙে নিচে ঝাঁপ দিয়েছে তা আমরা জানতে পারিনি। পরে দেখি কমলের এই অবস্থা”। যদিও তিনি হাসপাতালে থাকা সিকিউরিটির দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী যদি এইভাবে পালিয়ে গিয়ে ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় তাহলে হাসপাতালে সিকিউরিটির কি প্রয়োজন?
ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার বলেন, “শুনেছি হাসপাতালে একটি ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”