আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১১ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য বাজেটে ঘোষিত জয় জোহার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার রাজ্য বাজেটে আদিবাসীদের জন্য জয় জোহার পেনশন প্রকল্পে ষাট বছর বয়স উত্তীর্ণ আদিবাসী জনজাতির মানুষকে এক হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য ধার্য করা হয়েছে পাঁচশ কোটি টাকা।
বাম আমলের এই প্রকল্পকে নাম বদল করে জয় জোহার করার তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সম্পাদক তরুণ রায় ও পুলিন বিহারী বাস্কেদের দাবি, বাম আমলেই এই এক হাজার টাকা করে আদিবাসী পেনশন চালু করা হয়েছিল। তৃণমূল সরকার সেই প্রকল্পের নাম পাল্টে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক মহলে নয়, রাজ্য সরকারের এই পেনশন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে আদিবাসী সমাজেও। আদিবাসীদের সমাজ সংগঠন ভারত জাকাত সারনা চেমেত আসড়ার ঝাড়্গ্রাম জেলা সংগঠনের সম্পাদক খগেন্দ্রনাথ সরেনের অভিযোগ, জোহার মানে নমস্কার। তার আগে জয় শব্দটি দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। প্রকল্পের সঙ্গে নামের মিল নেই। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা শিব শংকর সরেনের প্রশ্ন, রাজনীতির খেলায় প্রকল্পটির সুযোগ সুবিধা কতজন পাবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
রাজ্য বাজেটে ঝাড়গ্রামে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর ঘোষণা নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। কুড়ি কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর নির্মীয়মান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হবে নাকি বিরসা মুন্ডার নামে হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। এবিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।