আমাদের ভারত, ২৮ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ইতিমধ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে মোদী সরকার। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি একাধিক টানেলের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর তার জন্য খরচ হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। এই হাইওয়ে ও টানেল তৈরির কাজ করছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। জোজিলা টানেল প্রজেক্টের মাধ্যমে কাশ্মীর লাদাখকে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কতদূর এগিয়েছে সেই কাজ তা খতিয়ে দেখতে আজই পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
মঙ্গলবার জোজিলা প্রজেক্টের দুটি টানেলের কাজ খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রথম টানেলের দৈর্ঘ্য ৪৩৫ মিটার ও দ্বিতীয় টানেলের দৈর্ঘ্য ১.৯৫ কিলোমিটার। ১৮ কিলোমিটারের জোজিলা প্রোজেক্টের অংশ এই দুটি টানেলর কাজ আজ প্রদর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আধিকারিকরা।
পরিদর্শনের আগে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। সব মরশুমে যাতে কাশ্মীর লাদাখের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অক্ষুন্ন থাকে তার জন্যই এই জোজিলা প্রকল্পে টানেল তৈরি হচ্ছে। প্রবল শীতেও যাতে কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে সবরকম চেষ্টা চলছে। এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ হলে জোজিলা হবে দেশের দীর্ঘতম টানেল। এছাড়া বাই ডিরেকশনাল টানেল অর্থাৎ দুদিকেই যাতায়াত করা যায় এমন টানেল হিসেবে এশিয়ার দীর্ঘতম হবে এই জোজিলা টানেল। একাধিক সেতু তৈরি হচ্ছে এই রুটে।
শুধু এটাই নয় কারগিল সানমার্গের মাঝামাঝি জায়গায় তৈরি হচ্ছে এমন একটি টানেল যেটা জাতীয় সড়কের জে মোড় থেকে জোজিলা টানেল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। এই প্রোজেক্টের পুরো কাজ হচ্ছে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে। এ প্রজেক্টের শেষ অংশ থাকবে লাদাখে। প্রকল্পটি যেখানে তৈরি হচ্ছে সেটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হওয়ায় টানেল তৈরির সময় সব রকম সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে।