আমাদের ভারত,২৩ ডিসেম্বর:এবার ঝাড়খণ্ডেও হল পালাবদল। বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট। এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন।
ভোট গণনার শুরু থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে বেলা গড়াতেই ভোটের ফলাফল জোট শিবিরের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যায় পালাবদলের ইঙ্গিত। ৮১ আসনের ঝাড়খন্ড বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১ টি আসন।
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জোট ৩৫ টি এবং বিজেপির ১৪ টি আসনে জয়লাভ করেছে। ১২টি আসনে জোট এগিয়ে রয়েছে এবং ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষা গুলি এবার জোট সরকারকে এগিয়ে রেখেছিল ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে।
পালাবদলের ইঙ্গিত পেতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় জোট শিবিরের উল্লাস। কংগ্রেস কর্মী থেকে জেএমএম কর্মী সকলেই শুরু করেন মিষ্টি বিতরণ। পোড়ানো হয় বাজি।
ঝাড়খণ্ডের জয়ে জোট শিবিরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদ পাওয়ার বলেছেন, ঝাড়খণ্ডের ফলাফল স্পষ্ট করে দিয়েছে মানুষ অবিজেপি সরকার চাইছে।
ঝাড়খন্ড গঠিত হয়েছিল ২০০০সালে। গত মাসেই এই রাজ্য কুড়ি বছরে পা দিয়েছে। এটি ছিল এই রাজ্যের চতুর্থ বিধানসভা ভোট। আয়তনে ছোট হলেও ঝাড়খণ্ডের ফলাফল কী হয় সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের।
হিসেব বলছে আদিবাসী কাটাতেই বিদ্ধ হয়েছে বিজেপি। আদিবাসী সংরক্ষিত বেশিরভাগ আসনই হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের। একই সঙ্গে দলীয় কোন্দল এবং জোট গড়তে ব্যর্থতাকে দায়ী করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এই কারণেই ঝাড়খণ্ডে প্রথম অ-আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারলেন না।
ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার নিমরা গ্রামে ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট জন্ম হয় হেমন্ত সোরেনের। ২০০৫ এ দুমকা আসন থেকে ভোটে দাড়িয়ে হেরে যান তিনি। এরপর ২০০৯ রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১০এ অর্জুন মুন্ডার নেতৃত্বাধীন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। এছাড়াও ২০১৩থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন তিনি। এই জয় জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানান জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেন, আজকের দিনটা আমার জন্য নতুন প্রতিজ্ঞার দিন।