পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ৫ ফেব্রুয়ারি: দূরারোগ্য ব্যাধিতে স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। ক্লেমের জন্য সমস্ত ডকুমেন্টস ইন্সুরেন্স অফিসে জমা করা সত্ত্বেও কোনো টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেন ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের ফুলবনি গ্রামের রুম্পা খিলারি।
ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে টাকা পাওয়ার অনিশ্চিয়তা দেখে বেলিয়াবেড়া ব্লকের “অধিকার মিত্র” রীতা দাস দত্তের সাথে যোগাযোগ করেন রুম্পাদেবী।রীতাদেবীর মাধ্যমে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানান রুম্পা খিলারি। তার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে রুজু হয় প্রি লিটিগেশন মামলা।
সূত্রের খবর, ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ মামলার নোটিস পেয়ে মামলার শুনানি হওয়ায় আগেই ক্লেমের টাকা জমা করে দেন রুম্পার অ্যাকাউন্টে। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের অফিসে এসে সচিব ম্যাডামকে ধন্যবাদ জানান রুম্পাদেবী।
রুম্পা চোখের জ্বল মুছতে মুছতে জানান, স্বামী হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে সংসার করছি। স্বামীর নামে দুটো পলিসি ছিলো। ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছে বহুবার মৌখিক এবং লিখিত আবেদন জানানো সত্ত্বেও আমার কষ্টের কথা ওনারা কেউই শুনতে চাননি। অবশেষে আমি রীতা ম্যাডামের নানান কাজের সাফল্য সমাজ মাধ্যমে দেখে ওনার সাথে যোগাযোগ করি, উনি আমাকে সচিব ম্যাডামের কাছে নিয়ে আসেন, সচিব ম্যাডামের কাছে আবেদন জানানোর প্রায় পনেরো দিনের মধ্যেই আমি ক্লেমের সম্পূর্ণ টাকা পেয়ে যাই। এখন কিছুটা হলেও আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী হলাম। নমিনি হিসেবে আমার ছেলেরাই ছিলো। বাবার স্মৃতি হিসেবে ওই টাকা আমি দুই ছেলের নামেই রাখতে চাই। যাইহোক আমার দুই বছরের সমস্যার সমাধান মাত্র পনেরো দিনের মধ্যেই হয়ে গেলো। অশেষ ধন্যবাদ জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে।