অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৩ মার্চ: “শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে ১৬ নম্বর সরকারি বাসে চেপে হ্যারিসন রোড ক্রসিং-এ কলেজ স্ট্রিটে এসে থামতাম। অনেক সময়ই ভিড় হতো চিঁড়ে চ্যাপ্টা। দোতলা বাসও ছিল। ট্রাম ডিপো বললেও তখন শিবপুর থেকে ট্রাম পরিষেবা উঠে গেছিলো। তখনও পিচ রাস্তা হাওড়ার সংকীর্ণতম জিটি রোডে ট্রামলাইনের স্মৃতিচিহ্ন ছিল।”
এমনই সহজ, সরল ভাষায় শুরু হয়েছে জয়ন্ত ঘোষালের ডায়েরির ১৬ তম পর্ব। না, আরও নির্দিষ্টভাবে বললে, ডায়েরির প্রতিটি পর্ব। আরও সূক্ষভাবে বললে, এ রকমই প্রাঞ্জল তাঁর প্রতিটি লেখাই। তাঁর ভাবনা যেন উলের বল। ক্রুুশকাটা থেকে হালকা করে আপনার অজান্তে কোল বেয়ে এগিয়ে চলেছে। আর আপনি সেই কাঁটা, থুড়ি বইটা হাতে নিয়ে ডুবে গিয়েছেন লেখার ভিতর।
এ রকম লেখকের বই নিয়ে মেলায় আলোচনা হবে, তা বলাই বাহুল্য! একটা-দুটো নয়, এবার মেলায় প্রকাশ পেল তাঁর চার চারটে বই। ধর্ম, রাজনীতি, গভীর রাজনীতি আর রম্যরচনা— চার বইয়ের চার রকম বিষয়। এর মধ্যে আছে হার্পার কলিন্সের প্রকাশনা ‘মমতা বিয়ওন্ড ২০২১’। আনন্দ পাবলিশার্স-এর ’দিল্লি দরবারে রিপোর্টার ভূতনাথ’। পত্র ভারতী থেকে প্রকাশিত লেখকের প্রথম বাংলা বই ‘আমার নাম পাকিস্তান’। এটি লেখক উৎসর্গ করেছেন ভারতের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান এবং নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল দত্তকে। এবারের মেলায় প্রকাশিত জয়ন্তবাবুর চতুর্থ বইটি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ওপরে। প্রকাশক ‘সূত্রধর’। সুভদ্র, বাগ্মীতায় দক্ষ জয়ন্তবাবুর ভাবনার পরিসর পাঠক পাবেন বইগুলোয়।