আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৪ ডিসেম্বর: কীটনাশক খেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীকে জরুরি পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর জেরে রোগীর অবস্থার অবনতি হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বচসা থেকে উত্তেজনা ছড়াল মঙ্গলবার গভীর রাতে। দুই পক্ষে গণ্ডগোলে হাসপাতালে এক কর্মী জখম হয়। ওই কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই কারণে পুলিশ ফাঁড়ির দাবি উঠল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ জানায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধেয় কীটনাশক খাওয়া অবস্থায় এক রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেলেও রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা ঢিলেঢালা দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। রাতে ওই রোগীর পরিজনরা ওয়ার্ডে ঢুকে নার্স ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসতেই দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে হাসপাতালের কর্মীরা ঘটনার পর কর্মবিরতি রেখেছেন।
চিকিৎসক সায়ন্তন দাস বলেন, “কীটনাশক খেয়ে এক রোগী এসেছিল সঠিক চিকিৎসা চলছিল। পরিজনরা ঝামেলা করে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এখন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ। এখানে পুলিশ ফাঁড়ি হওয়া দরকার।”
এদিকে এক রোগীর আত্মীয় রূপন দাস বলেন,”কর্মীদের পেলাম না। নিজেই ছেলেকে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলাম ট্রলি করে।”