আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৬ জুলাই: সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যেই পকসো মামলার অভিযুক্তকে পঁচিশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট। নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত টোটো চালককে পকসো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার সাজা ঘোষণা করলেন বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর বলে জানালেন সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত।
চলতি বছর ২১ জানুয়ারি সদর ব্লকের অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রী বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয় টোটোর করে। অভিযুক্ত টোটো চালক ছাত্রীকে স্কুলে না নিয়ে গিয়ে চকোলেটের সঙ্গে কিছু মিশয়ে খাইয়ে অচৈতন্য করে তিস্তা পাড়ে নিয়ে যায়। এরপর এক নির্জন জায়গায় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি টোটো চালক নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে বলে এই ঘটনা কাউকে জানালে তাকে ও তার মাকে মেরে ফেলবে। এরপর অভিযুক্ত টোটোচালক আবার নাবালিকা ছাত্রীকে বাড়িতে পৌছে দেয়।
ঘটনার ১৬ দিন বাদে নাবালিকার স্কুল ব্যাগে একটি প্রেগনেন্সি কিট দেখতে পান ছাত্রীর মা। এরপর মায়ের চাপে নাবালিকা ঘটনার কথা জানায়। গোটা ঘটনা শুনে সেদিনই নাবালিকার মা মহিলা থানায় টোটো চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত টোটো চালককে গ্রেফতার করে সাত দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা করে আদালতে। দশ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরে বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তের ২৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। নাবালিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গোপন জবানবন্দি গ্রহণ আদালত।
সহকারি সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, “অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড, পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দু’মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়াও নাবালিকাকে জেলা লিগাল সার্ভিস অথোরিটির পক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছে।”
নাবালিকার মা এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে বিচার পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।