আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৮ জুন: এক কিশোরীকে অপহরণের পর ভিন্ রাজ্যে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্ত যুবককে কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জলপাইগুড়ির জেলা আদালত। বুধবার জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর সাজা ঘোষণা করেছেন বলে জানালেন সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত।
২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জলপাইগুড়ির এক থানায় নাবালিকার বাবা অপহরণের অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় ১৫ বছরের এক কিশোরী, আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। কয়েকদিন বাদে অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে ওই কিশোরী বাড়িতে ফোন করে জানায় দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে তাকে। ওই কিশোরীর পরিবার পুলিশকে জানায়। এরপর তদন্ত নেমে পুলিশের একটি দল দিল্লি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। দিল্লির আদালতে অভিযুক্তকে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় ধৃতকে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো, অপহরণ সহ একাধিক মামলা করে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে ধৃত যুবক কিশোরীকে অপহরণ করে দিল্লির এক বাড়িতে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করে। ২৮ দিন বাদে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ এক বছরের মাথায় অভিযুক্ত যুবককে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক, জানালেন সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, “কিশোরীকে ৫ লক্ষ টাকা লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির পক্ষ থেকে দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার মোট ৭ জন সাক্ষী ছিলেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল।”