আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১০ জুলাই: এক নাবালিকাকে অপহরণ করে লাগাতার গণ ধর্ষণ, এরপর মৃতদেহ সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তিন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিশেষ পকসো কোর্ট৷ রাজগঞ্জ ব্লকের সন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুবাড়ি গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্তরা হলেন প্রধান পাড়ার বাসিন্দা রহমান আলী, শৌলমারির বাসিন্দা জমিরুল হক ও সদর ব্লকের জহুরি ডাঙামারির বাসিন্দা তমিরুল হক।
২০২০ সালের ১০ অগস্ট নাবালিকা নিখোঁজ হয়। দশ দিন বাদে ২১ আগস্ট ধৃতদের গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। নাবালিকাকে ফোন করে ডেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এরপর প্রায় দশ দিন আটকে রেখে লাগাতার তিন অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে, এরপর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ সেফটিক ট্যাঙ্কে ঢুকিয়ে চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। রাজগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে আরও দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷
এতদিন অভিযুক্তরা জেল হেফাজতে ছিল, এদিন ধৃতদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক রিন্টু সুর, বলে জানান সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, “ধৃতরা নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করে। হোটেল সহ বিভিন্ন জায়গায় আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের ফাঁসি, পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক৷ মোট ২৭জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। এটা জেলা আদালতের বিরল ঘটনা।”
নাবালিকার বাবা বলেন, “অভিযুক্তদের সাজা হওয়ার আমরা খুশি।”