আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৫ জুন: জগদ্দল, ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে আসলো কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতী হামলা ও বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাটপাড়া ও জগদ্দল বিধানসভা এলাকা। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের দু’জনের প্রতিনিধি দল ওই সমস্ত ঘটনার তদন্তে আসেন।
জগদ্দলের রাহুতা বিআরএস কলোনিতে গত ৩ মে বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মা শোভারানী মন্ডলের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে শোভা রাণী দেবীর। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল এদিন মৃত শোভা রাণী দেবীর বাড়ি যান। সেখান থেকে ভাটপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ নম্বর গলির পুরানীতলা পুকুর সংলগ্ন আকাশ যাদবের বাড়িতে যান। গত ২ মে ফল ঘোষণার দিন দুপুরে ২৩ বছরের আকাশকে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। এক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আকাশের মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তারা যান গুপ্তার বাগানে। সেখানে গত ২৫ এপ্রিল রাতে কলেজ ছাত্র অনুরাগ কুমার সাউকে বোমা মেরে হত্যা করেছিল দুষ্কৃতীরা। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল আকাশের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা থানায় গিয়ে এই তিনটি ঘটনার তদন্ত কতটা এগিয়েছে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে কি না সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কে সদস্যরা জানান, যে ঘটনাগুলি ঘটেছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন মৃত অনুরাগ কুমার সাউয়ের বাবা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলে সাংবাদিকদের জানান, “কেন্দ্র থেকে যারা এসেছিলেন তারা আমাদের সাথে কথা বললেন। আমরা শুধু ওনাদের কাছে জানতে চেয়ে ছিলাম যে আমার ছেলে কোনও দল করে না তাহলে ওরা কেনো মেরে ফেললো। আমরা এর বিচার চাই।”