আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৩ ফেব্রুয়ারি: ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার হল জগদ্ধাত্রীর মূর্তি। এই নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। সবার ধারণা মূর্তিটি সোনার। সত্যিই সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার আংরাইলের বিশ্বাস পাড়া এলাকায় ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার হয় এই মূর্তিটি। দেখতে সোনালী উজ্জ্বল, মূর্তির চোখ দিয়ে অগ্নিশিখার ঝলক দিচ্ছে। ওজন আনুমানিক ১২ কেজি।
ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতী নদী। আংরাইল এলাকায় ইছামতী নদীর ওপারে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগে মুস্তাক আলি মন্ডল নামে এক ব্যাক্তি কাকভোরে নদীতে স্নান করতে যান। ডুব দিতেই ওই মূর্তিটি তাঁর হাতে উপর ভেসে ওঠে। তিনি মূর্তিটি ওপরে তোলেন। এরপর প্রতিবেশী এক মহিলাকে মূর্তিটি দিয়ে দেন। গ্রামের মানুষ মূর্তি দেখতে ভীর করে। সোনার মূর্তি মনে করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি ওই মূর্তিটি জন্য মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজো করারও সিদ্ধান্ত নেয় এলাকাবাসী।
খবর পায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনা স্থলে গিয়ে মূর্তিটি সোনা ভেবে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ পরীক্ষা করে জানতে পাড়ে মূর্তিটি আসলে পিতলের। রাজা কপাট নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, জগদ্ধাত্রী মূর্তিটি দীর্ঘ দিন জলের মধ্যে থাকায় একটি হাতের অংশ ক্ষয়ে গিয়েছে ও সিংহের পেছনের অংশটি ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এলাকার বৃদ্ধজনরা জানান মূর্তি দেখে মনে হচ্ছে কয়েকশো বছরের পুরানো। এলাকাবাসীদের দাবি, গাইঘাটা অঞ্চলে বহু পুরোন পুরোন মন্দির ছিল। মন্দির ধংস হয়ে গেলেও মূর্তিটি রয়ে গিয়েছে। পুলিশের ধারনা মূর্তিটি বাংলাদেশে পাচার করার সময় জলে পড়ে যায়। দীর্ঘ দিন জলের মধ্যে থাকার কারনে মূর্তির কয়েকটি অংশে ক্ষত দেখা গিয়েছে।