চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২০ ফেব্রুয়ারি: প্রত্যাশা ছিল। পুরো না-মিটলেও সেই প্রত্যাশার অনেকখানিই বৃহস্পতিবার পূরণ হল গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর। আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের ফল বেরিয়েছে। সেই ফল অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এবিভিপি। হারিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই আর তৃণমূলের টিএমসিপিকে।
আজ বেলা ১০টা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছিল ছাত্রভোটের গণনা। এই ভোট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সিএএ এবং এনআরসির প্রতি মনোভাবেরও পরীক্ষা ছিল। কারণ, এবিভিপির প্রচারের অন্যতম ইস্যুই ছিল সিএএ-এনআরসির পক্ষে সমর্থন। পালটা প্রচারে নেমেছিল এসএফআই, টিএমসিপি। কিন্তু, ফল দেখিয়ে দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অনেকেই সিএএ এবং এনআরসি সমর্থন করছে।
প্রায় তিন বছর পর গতকাল ছাত্রভোট হয়েছে যাদবপুরে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবছরই প্রথমবার কলা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিপি, জিএস, এজিএস ডে, এজিএস ইভিনিং-সহ মোট ন’টি পদেই প্রার্থী দিয়েছিল এবিভিপি। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ফেসবুকে দাবি করেছিলেন, এই ছাত্রভোটে তাঁরাই জিতবেন। কিন্তু ফল বলছে, এবিভিপির ঝুলিতে গিয়েছে ১১৫টি ভোট। এসএফআই সেখানে পেয়েছে ৭০টি। টিএমসিপি পেয়েছে মাত্র ২৯টি ভোট। তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে জয়ী বাম সংগঠন ডিএসএফ। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোট ১,৪০৫ ভোটের মধ্যে ডিএসএফের প্রাপ্ত ভোট ১,১৬৭।
তবে, জেএনইউ নেত্রী ঐশী ঘোষকে এনে প্রচার চালানো এসএফআই কলাবিভাগে জয়ী হয়েছে। যদিও ডিএসএর সঙ্গে তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। দু’পক্ষের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠায় গণনা বন্ধ পর্যন্ত হতে বসেছিল। সূত্রের খবর, কলা বিভাগের নির্বাচনে সংস্কৃত বিভাগ থেকে বেশ কিছু ভোট টেনেছে এবিভিপিও।
ফলপ্রকাশের পর এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক সুরঞ্জন সরকার জানান, তাঁরা এই ফলে উৎসাহিত বোধ করছেন। তাঁদের আশা, যাদবপুরের মতো রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভোটেও তাঁরা ভালো ফল করবেন।