আমাদের ভারত, ১২ মার্চ: রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি পেলনা বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আমজনতার মধ্যে বিরোধী দল শাসিত নানা রাজ্যে ‘কেন্দ্র দিচ্ছে না’ বলে প্রচার চলে। অনেক সময় কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে তার জবাব প্রচারিত হয় না। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ অনেকে সত্য বলে মনে করে।
কীভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ মর্যাদা হারালো, বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যসভায় অতি সম্প্রতি সেই প্রশ্ন পেশ করেন। এর উত্তরে বুধবার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার এ এক উদাহরণ।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর জবাব, যাদবপুর ইন্সটিট্যুট অফ এমিনেন্স, বা আইওই মর্যাদা পাওয়ার পথে এগিয়েছিল। এই স্বীকৃতি পেলে বিশাল তহবিল ও স্বায়ত্তশাসনের সুবিধা মিলত। তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদাসীনতার কারণে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, এই প্রকল্পের আওতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ₹৩,২৯৯ কোটি বাজেটের একটি প্রস্তাব জমা দেয়। কেন্দ্র সরকার ₹১,০০০ কোটি পর্যন্ত অর্থায়নের জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে রাজ্য সরকার তাদের অংশ দিতে অস্বীকার করে, ফলে পুরো প্রকল্পই ঝুঁকির মুখে পড়ে।
রাজ্য সরকার যাদবপুরের পাশে না দাঁড়িয়ে বাজেট প্রথমে কমিয়ে ₹১,০১৫ কোটি করে। এরপর আরও কমিয়ে মাত্র ₹৬০৬ কোটিতে নামিয়ে আনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্বভাবে ২৫% তহবিল সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও এমপাওয়ার্ড এক্সপার্ট কমিটি (ইইসি) এই বাজেট কাটছাঁটকে এই প্রকল্প মঞ্জুরের মানদণ্ডের জন্য অনুপযুক্ত বলে বিবেচনা করে। বাধ্য হয়ে যাদবপুরকে তালিকা থেকে বাদ দেয়।