সাথী দাস,আমাদের ভারত, পুরুলিয়া, ১৬ জুলাই: প্রথম প্রজন্ম হিসেবে মাধ্যমিক পাশ করল বাঘমুন্ডি থানার ভূপতিপল্লী গ্রামের বিরহোড় জনজাতির জবা শিকারি। শুধু তাই নয় গ্রামেরই প্রথম কেউ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হল। এই খবর পেতেই গোটা গ্রাম উচ্ছ্বাসে মেতেছে।ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো পড়লেও অভাব উচ্চ শিক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো? প্রশ্ন গোটা গ্রামের।
অযোধ্যা পাহাড় লাগোয়া বিভিন্ন জনপদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অবস্থার পরিবর্তন ধীরে ধীরে হচ্ছে তাদের। পাহাড়ের দুর্গম এলাকা থেকে সমতলে বাড়ি তৈরি করে স্থানান্তরিত করা হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। এই জনজাতির মধ্যে পড়াশোনা করাটা একটা সময় ছিল বাতুলতা। এখন সেই হার্ডল পার করল জবা শিকারী। ছোট বেলায় বাবা হারা মেয়েকে বিধবা মা মঙ্গলি শিকারি দিনমজুরের কাজ করে পড়াশোনা করাচ্ছেন। জবা বড় হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝতে শিখেছে সে। পরিণত জবা জানাল, বাবা ছোটবেলায় মারা যান। মা লদিনমজুরের কাজ করে আমাদের পড়াশোনা ও সংসার চালান। লতিন বোন। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করলাম। আমি আরও পড়তে চাই। নার্স হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
এদিকে খবর পৌঁছায় বিধায়ক নেপাল মাহাতোর কাছে। দেরি না করে পৌঁছে যান জবার গ্রাম ভূপতিপল্লীতে। কৃতিকে সংবর্ধনা ও মিষ্টি মুখ করিয়ে তার পড়ার সমস্ত খরচ বহন করার দায়িত্ব নিলেন। জবার এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হবে এই সম্প্রদায়ের অন্য মেয়েরা। আশা প্রকাশ করেন তিনি।