আমাদের ভারত, ২৫ ফেব্রুয়ারি: শনিবার দিল্লিতে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের শিপ্রা হোস্টেলের হল ঘরে একটি সেমিনারে যোগদান করেন তাঁরা। সেখানে সরাসরি কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ২০১৪ সালের আগে
জেএনইউ- এর তুলনা টানেন তাঁরা। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালি একটা দেশের মধ্যে অন্য একটা দেশ হয়ে গিয়েছিল।
সন্দেশখালি যেন দেশের মধ্যে অন্য একটা রাষ্ট্র, বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বলতে গিয়ে বামেদের তোপ দাগেন তিনি। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে। কিন্তু জেএনইউ সর্বদা গণতন্ত্রের কথা বলে। জোর গলায় এখানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করা হয়, কিন্তু এই গণতন্ত্র কি রকম? এখানে কিছু পড়ুয়া আছে যারা নিজেদের লেফট লিভারেল বলে দাবি করে। কিন্তু ১৪ সালের আগের লেফট লিবারেলদের কতটা গণতন্ত্র এখানে ছিল তা সবারই জানা। ছাত্রদের কত সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সেই রকমই একটা পরিবেশ সন্দেশখালিতেও তৈরি করে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
তবে শুধু খোঁচা নয়, ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসাও করেছেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ইউএসির মতে জেএনইউ দেশের এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়।
জেএনইউ যে কথা বলে তা নিয়ে শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বে আওয়াজ ওঠে। আগামী দিনে এটা হবে আমার বিশ্বাস।”
অন্যদিকে সুকান্তর পাশে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের বাম শিবিরকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জোট আছে এসএফআই নকশালের। আর এইসব টুকরে টুকরে গ্যাং-কে সুরক্ষা দিচ্ছে মমতা সরকার। বাম ও তৃণমূল সেটিং নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাকে। শুধু সন্দেশখালি নয়, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে লাগামহীন দুনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির এই নেতা। রেশন ও শিক্ষক দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি খোঁচা দিতে ছাড়েননি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও। তিনি বলেন, রেশন থেকে শিক্ষক নিয়োগ বাংলায় সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষা মন্ত্রী ক্যামেরার সামনে বলেছেন যদি চাকরি হয় তাহলে তৃণমূলের লোকের হবে কিভাবে হবে কেউ জানে না।