আমাদের ভারত, ৮ অক্টোবর: নাগরাকাটায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। গুরুতর চোট পেয়েছেন সাংসদ। চোখের নিচে তার হাড় ভেঙ্গেছে। এই মুহূর্তে দু’জনেই উত্তরবঙ্গের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। বুধবার তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিন দিন পরও ঘটনায় অভিযুক্তরা কেউ কেন গ্রেপ্তার হয়নি, তা নিয়ে পুলিশ মন্ত্রী সহ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে তারা তৃণমূলের লোক। আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হামলাকারীদের মুখ দেখা গেছে, কিন্তু এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা? মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা দেগে বিজেপি সাংসদ বলেন, এমন পুলিশ মন্ত্রী থাকার চেয়ে তাকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়।
একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে বিজেপি তাদের মত করে ট্রিটমেন্ট করবে। তাঁর কথায় পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে, এখনো সময় আছে গ্রেপ্তার করুন। উত্তরবঙ্গে বিজেপি এই ক্ষমতা রাখে। তিনি আরো বলেন, খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে থেকেছেন, শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক ছাড়াও সেদিন যারা যারা গিয়েছিলেন তারা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
সোমবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় পরিদর্শনে যান খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। খগেন মুর্মুর গাড়িতে তখন ছিলেন বিধায়ক। অভিযোগ, আচমকা তাদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। নাগরাকাটায় পৌছতেই তাদের দিকে তেড়ে আসে দুষ্কৃতীরা। বাঁশ, লোহার রড ও পাথর দিয়ে মারধর করা হয়। ভাঙ্গচুর করা হয় গাড়িতেও। গুরুতর আঘাত লাগে সাংসদ খগেন মুর্মুর। রক্তে ভেসে যান তিনি। আক্রান্ত হন বিধায়ক শংকর ঘোষ।
শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই তাদের প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, চালকের তৎপরতায় দ্রুত এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন তারা। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। আহত সংসদের ছেলের কথায় তৃণমূলের লোকেরাই হামলা চালিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও আরেক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোট প্রসঙ্গে মিথ্যে বলেছেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য, বিজেপি সাংসদকে দেখে এসে মমতা জিজ্ঞাসা করেছেন লাগলো কিভাবে? কিন্তু তার প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল মারল কিভাবে আর কারা?

