Shahjahan, police, Sukanta, মুখ বাঁচাতে নাটুকে গ্রেপ্তারি! মনে হচ্ছে শাহজাহানই পুলিশকে গ্রেপ্তার করেছে, সিবিআই- ইডি তিহারে নিয়ে গেলে কাঁধে ভর দিয়ে বেরবে: সুকান্ত

আমাদের ভারত, ২৯ ফেব্রুয়ারি: শাহজাহানকে ইডি ও সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল নেতার গ্রেফতারের পর পুলিশের হেফাজতের শাজাহান যেভাবে চলাফেরা করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, পুলিশ নয়, মনে হচ্ছে শাহজাহানই অদৃশ্য দড়ি বেঁধে পুলিশকে নিয়ে যাচ্ছে।

বিজেপির লাগাতার আন্দোলনের ফলে শেখ শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তৃণমূলের মুখ বাঁচাতে এই গ্রেপ্তার বলেও তিনি দাবি করেন। তাঁর কথায়, হাজারটা সন্দেশখালি তৈরি হচ্ছে গোটা বাংলায়। বাংলার মায়েদের বলবো এটাই সঠিক সময়। যেখানে যেখানে মহিলারা নির্যাতিত তাদের পাশে রয়েছে বিজেপি। সন্দেশখালির মহিলাদের পাশে বিজেপির দাঁড়ানোর পর গোটা দেশের সামনে পুরো বিষয়টি চলে আসে। এখন মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তিনজন মিলে সব কিছু করতে পারে না। ভাঙড়ে, গোসাবায় জমি দখল হচ্ছে। আমাদের আন্দোলন ততক্ষণ চলবে, যতক্ষণ না সেই সব শেখ শাহজাহানদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে তিনি লিখেছেন, “বাঘ তো নয়, কাগুজে বাঘ। মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় সন্দেশখালিতে অত্যাচার করে বেড়াতো। মানুষের রোষ থেকে বাঁচাতে এই নাটক রচিত হল কালিঘাট থেকে।” তাঁর দাবি, “সবটাই নাটক। গ্রেফতারি না ছাই। জনরোষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য শেখ শাহজাহানকে সুরক্ষা দিল রাজ্য পুলিশ। অবাক হবো না, যদি দু’দিন বাদে ওই শেখ শাহজাহানকেই উডবার্ণ ওয়ার্ডে বহাল তবিয়তে মিথ্যা অসুস্থতার অজুহাতে ভর্তি হতে দেখি।”

পুলিশের হেফাজতে শেখ শাহজাহান ফাইভ স্টার হোটেলের সুবিধা পাবেন বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদারও। পুলিশের ঘেরাটোপে শেখ শাজাহানের হাবভাব দেখে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, শাহজাহান যেভাবে ঘুরতে ঘুরতে যাচ্ছে, যে দর্পের সঙ্গে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে না বরং অদৃশ্য দড়ি দিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে সে। যেভাবে সে ভিক্ট্রি সাইন দেখাচ্ছে।”

একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, এই বেটাকে সিবিআই, ইডির হাতে তুলে দিতে হবে। তিহারে নিয়ে যাওয়ার পর দেখবেন আর ভিক্ট্রি সাইন দেখানোর অবস্থা থাকবে না। দু’ কাঁধে ভর দিয়ে বেরোবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শুকান্ত মজুমদার বলেন, আসলে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। খুব কম দিন তিনি নবান্নে যান। সুপার সিএম সবটা চালাচ্ছেন।

শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর তাকে ছয় বছরের জন্য তৃণমূল সাসপেন্ড করেছে। দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। বুধবার রাতে তাকে মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেই তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। তাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেখান থেকে শাহজাহানকে সরাসরি ভবানী ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *