আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি:
সন্দেশখালির ঘটনা উদ্বেগজনক ও নিন্দাজনক। ইডির তদন্তকারীকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কথায়, গণতন্ত্রে হিংসা ও গোলমাল রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। রাজ্য সরকার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। আজ এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে মুখ্য সচিব কে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এই ঘটনায় কড়া বার্তা দিতে গিয়ে তিনি মনে করিয়েছেন, রাজ্যপাল হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী সব বিকল্প খতিয়ে দেখে যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ করবেন তিনি। পেশী শক্তি বা কাগুজে বাঘদের নামিয়ে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো যাবে না। জঙ্গলরাজ গুন্ডাগিরি চলতে পারে কেবলমাত্র মুর্খের স্বর্গে। বাংলায় গণতন্ত্র নেই। রাজ্য সরকারের নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত।
রাজ্যপালের বার্তা, এই ধরনের ভোট পূর্ববর্তী হিংসা শুরুতেই অবসান হওয়া দরকার। হিংসা থামানোর দায় শুধুমাত্র সরকারের। সরকারের উচিত বাস্তব বুঝে পদক্ষেপ করা, না হলে তার ফল ভোগ করতে হবে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, আইন শৃংখলার অবনতি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে পারে না পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে, সেই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের বোঝাতে হবে কিছু লোককে সামান্য সময়ের জন্য বোকা বানাতে পারলেও, সব সময় সবাইকে বোকা বানাতে পারা যাবে না। বাংলায় অবিলম্বে হিংসা ও দুর্নীতি থামাতে হবে।
প্রসঙ্গত , সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যে সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। তারপরই রাজ্যপাল কড়া বার্তা দেন। যেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যসরকার নিজের কর্তব্য পালনের ব্যর্থ হলে ফল ভুগতে হবে।
শুক্রবার রেশন বন্টন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শাহজাহান শেখের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন ইডির তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে একজনের মাথা ফাটে হামলায়। রীতিমতো পালিয়ে বাঁচতে হয় তাদের। আরও দুজন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়।

