আমাদের ভারত, ১১ সেপ্টেম্বর: কেন রাজ্যের মানুষ কেন্দ্র সরকারের আয়ুষ্মান ভারতের মত স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? কেন এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। এর উত্তর চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্য সরকারকে কড়া নোটিশ জারি করল দেশের শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্র সরকারের একাধিক প্রকল্প বিভিন্ন রাজ্যে বাস্তবায়িত হয়নি বলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনের শুনানি শেষে পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্যকে কড়া নোটিশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা তেলেঙ্গানা ও দিল্লি সরকারকে নোটিশ জারি করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিকভাবে দুর্বল, বিশেষ করে বিপিএল তালিকা ভুক্ত মানুষদের স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া হয় সরকারের তরফে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেয়ে থাকেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৫ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বীমা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হয়নি। এই নিয়ে বিজেপি বহুবার রাজ্যের কড়া সমালোচনা মুখর হয়েছে। কেন্দ্রের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছেন তারা। যদিও রাজ্য তথা তৃণমূলের তরফে পরিবর্ত হিসেবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা বারবার তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন কিছুদিন অপেক্ষা করুন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে রাজ্যের প্রকল্প চালু হয়ে যাবে।
তার আগেই এবার দেশের শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সহ চার রাজ্যের জন্য নোটিশ জারি করল। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কেন ওই রাজ্ গুলিতে চালু করা হয়নি, তার নিয়ে নোটিশ জারি করল। সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ জারি করে পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা, তেলেঙ্গানা ও দিল্লি সরকারের কাছে উত্তর চেয়েছে।
আবেদনকারীর শীর্ষ আদালতে নিজের আবেদনে বলেছিল, দেশের এই চার রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্যর সাথে জড়িত এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না। কারণ এই সব রাজ্য সরকার গুলি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সেখানে লাগু করেনি। ফলে এই সব রাজ্যের গরীব মানুষেরা ৫ লাখ পর্যন্ত চিকিৎসা সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে গোল্ডেন কার্ডের সুবিধা পায় মানুষ। এতে দেশের যে কোন হাসপাতালে নিজের চিকিৎসা করাতে পারে তারা। তাদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা খরচ হলে তা বীমা কোম্পানি বহন করে। অথচ এই প্রকল্পের প্রিমিয়াম গ্রাহককে দিতে হয়না।